দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

Date:

Share post:

ডেস্ক নিউজ: বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগা-প্রকল্পগুলো দ্রুত এগোচ্ছে। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়েছি। আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন া।

রবিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং এর বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ নেয়।

তিনি বলেন, ‘৭০-এর নির্বাচনে ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত আসনসহ যথামে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক াগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ নেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন মদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকার শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণার প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এদিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। মেহেরপুর হয়ে উঠে অস্থায়ী সরকারের রাজধানী এবং সেদিন থেকে এ স্থানটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিতি পায়।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, অস্থায়ী সরকার ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ লাভ করে।

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞ চিত্তে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে স্মরণ করেন।

এছাড়াও বাণীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দিবসটি উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু আর্জুন গ্রেপ্তার

গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে পুষ্পা ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় সিনেমা “পুষ্পা ২: দ্য রুল”। বৃহস্পতিবার মুক্তি পায় সিনেমাটি। তার আগে...

টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প

টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে উদ্বোধনী ঘন্টা বাজান...

ছাত্র শিবিরকে ঢাবি ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ছাত্র শিবিরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) “ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের...

র‍্যাবে আয়নাঘরের অস্তিত্ব ছিল, স্বীকার করলেন ডিজি

র‍্যাবে আয়নাঘরের অস্তিত্ব ছিল বলে স্বীকার করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে...