আসলাম পারভেজ,
হাটহাজারী,চট্টগ্রাম
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে শপিংমহল গুলোকে সাজানো হয়েছে নানা রুপসজ্জায়।ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়,ব্যবসায়ীরাও বেচাকেনা করেছে।গেল বছরে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানান।ঋণ গ্রস্থ ব্যবসায়ী পড়েছে বিপাকে।করোনার আতঙ্ক থাকলেও ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতারা মানছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্ব।
সন্ধ্যার পর পর শপিংমহল গুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।দূরদূরান্ত থেকে কেনাকাটা করতে আসা নারী ক্রেতাদেরকে ইভটিজিং করার মতো ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা।
এদিকে মহামারি করোনা কেও ভয় করেছেনা মানুষ। সরকারেরর নির্দেশনাকে মানছেনা ঈদ পাগল মানুষেরা। নেই কোন শারিরীক দুরত্ব, নেই কোন ক্রেতা বিক্রেতার মুখে নিরাপদ মাস্ক। কোন কিছুই মানছেনা সাধারন মানুষ। তার মধ্যে আবার নরক যন্ত্রানায় ফেলেছে হাটহাজারী পৌর এলাকায় অবৈধ ব্যাটারি রিক্সা, এসব ব্যাটারি রিক্সার বিরোদ্বে আদালতের নিষেধাঙা থাকার পরও কি ভাবে চলাচল করছে তা কেউ জানেনা। আর এ ব্যাপারে স্হানীয় পুলিশ প্রশাসন তেমন কোন কার্যকর ব্যাবস্হাও নিচ্ছেনা। তার পাশাপাশি কাচারী সড়কেও অবৈধ সি,এন,জি পার্কিং করার কারনে মার্কেটে আসা লোকজন চলাচল করতেও হিমশীম খাচ্ছে। আবার দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদের মধ্যে তীব্র যানজট সৃষ্টি করে এ সব অবৈধ রিক্সা গুলো। এই রিক্সা গুলো বিগত কয়েক বছর ধরে পৌর টেক্স বিহীন চলাচল করলেও তা কেউ দেখছেনা। পৌর এলাকায় প্রায় তিন হাজারের বেশি এ সব রিক্সা চলাচল করলেও তবে তাদের দাপটে যেন থটস্ত প্রসাশন।
মার্কেটের সামনে যত্রতত্র বাইক পার্কিং,আটদশজনের গ্রুপ বেঁধে গল্পগুজব ও ইভটিজিং করার মতো নোংরা ঘটনা বেশ লক্ষনীয়।
বিশেষ করে হাটহাজারী সদরের এনজুহুর, সিটি সেন্টার,আমীর এরশাদ প্লাজা ও আলী মমতাজ মার্কেটের সামনে বখাটেদের উৎপাত।বিশেষ করে,সন্ধ্যা হলেই বাইক শো-ডাউন শেষে শপিংমহল মহলের সামনে গল্পগুজবে সিগারেট হাতে চা এর কাপে ঝড় তুলে এ কিশোর ঘ্যাংরা।
ক্রেতা আরিফ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান কিছু যুবক মার্কেটের অলি গলি দখল করে বসে আছে যেখানে মহিলাদের চলাচল করে। মার্কেটে তাদের কোন কাজ নেই কোন মার্কেটি ও করছেনা তারা
এ বিষয়ে হাটহাজারী বাজার ব্যবসায়ী সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউল আলম বলেন,যে বা যারা ক্রেতাসাধারণদের ইভটিজিং করবে,হয়রানি করবে।এমন অভিযোগ পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যতাযত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এবং হাটহাজারী মডেল থানাকে আমরা অবগত করে রেখেছি।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন,।আমরা মনিটরিং এ রয়েছি।ঈদ বাজার ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে আমরা পুলিশী টহলসহ সাদা পোশাকে অবস্থান করছি।অন্যায়কারীদের বিন্দু-পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।দেশের প্রচলিত আইনে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।