গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ওই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশর্ট ছড়িয়ে পড়ে। ওই সূত্র ধরে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে একটি সূত্র তার কাছে কিছু তথ্য জানতে চায়।
ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশর্টে কথোপকথন কত তারিখের, তা স্পষ্ট নয়। সময় বিকেল পাঁচটা বাজার কিছু আগে। খুদে বার্তার ওই কথোপকথনে মোসারাত মুনিয়া শারুনকে লেখেন, তিনি ভালো নেই। এরপর লেখেন, ‘উনি তো আমাকে বিয়ে করবে না। কী করব আমি?’ জবাবে শারুন লেখেন, ‘আগেই বলেছিলাম, ওর কথা শুইনো না। ও আমার বউকে বলছে বিয়ে করবে, কিন্তু করে নাই। মাঝখানে আমার মেয়েটা মা ছাড়া হয়ে গেছে।’
অবশ্য এই কথোপকথনের কোথাও মুনিয়া বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের নাম উল্লেখ করেননি। ‘উনি’ বলে সম্বোধন করেছেন।
শারুন সরকারদলীয় হুইপ ও চট্টগ্রামের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে।
এ বিষয়ে শারুন বলেন, কথোপকথনের যেসব স্ক্রিনশর্ট ছড়ানো হচ্ছে এগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। আর আমাকে কোন সূত্র ফোন করেননি। লন্ডন থেকে এক ব্লগার আমাকে জিজ্ঞেস করে স্ক্রিনশর্টগুলো আপনার কিনা। আমাকে কোন তদন্ত সংস্থা ফোন করেনি।
শারুন চৌধুরী আরো বলেন, এগুলো কিছু সফটওয়ার আছে যেখান থেকে এ ধরনের ভুয়া স্ক্রিণশর্ট বানানো যায়। গুগলে ‘স্ক্রিনশর্ট মেকার’ সার্চ দিলে এ ধরনের এপ পাওয়া যায়। তবে যারা এ ধরনের ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে আমি জিডি করব।
মোসরাতের সাথে তার পরিচয় ছিল কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর মোসারাত আমার সাবেক স্ত্রী ও সায়েম সোবহান আনভীরকে নিয়ে কিছু কথা আমার মেসেঞ্জারে পাঠায়। আমি তাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছি আমার সাবেক স্ত্রী কি করছে না করছে এগুলো আমার বিষয় না। আসলে আমার সাবেক স্ত্রীর সাথে আনভীরের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে আনভীর কৌশলে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য মোসরাতকে দিয়ে যোগাযোগ করানোর চেষ্টা করেছে।
উল্লেখ্য, ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চন্দ্র চক্রবর্তী জানান , ওই ফ্ল্যাটে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের যাতায়াত ছিল। কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন, তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।