বাংলাদেশের একটি জেলার প্রশাসক অনুরোধ জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষ পালনে যেরকম বিশেষ ভাতা দেয়া হয়ে থাকে, বিজয় দিবস পালনেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যেন সেরকম একটি ভাতা চালু করা হয়।
ওই অনুরোধটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মোখলেসুর রহমান সরকারের দপ্তর থেকে গত ৩১শে মে ওই প্রস্তাবটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মোঃ মোখলেসুর রহমান সরকার বিবিসিকে বলছেন, “এই ভাতা দেওয়া হলে, সবাই আরো বর্ণিলভাবে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনে উৎসাহী হবেন।”
“এখন যেটা হয় যে, দেখা গেলো সকালে কিছু প্যারেড, তারপরে কিছু অনুষ্ঠান, বিকালে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে শেষ। আমরা চাচ্ছি যে, এটা যেন একদম সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। সর্বত্র এটা প্রতিভাত হয় যে, আজকে একটি বিজয় দিবস।” বলছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক।
তিনি আরও বলছেন, “ব্যাপারটা যেন এরকম হয় যে, এর ফলে মানুষ ওইদিন নিজেদের বাড়িতে উন্নত মানের খাবার খাবেন, একটা উৎসবমুখর পরিবেশ থাকবে, একটু নতুন লাল সবুজের বর্ণিল পোশাক পড়ার একটা ব্যাপার থাকবে।
“এখন যেমন ঈদ-পূজা উপলক্ষে আমরা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীর বাড়িতে বেড়াতে যাই, এরকম একটি ব্যাপার যেন ঘটে।”
”যেটা আমাদের সকলকে এক সূত্রে আবদ্ধ করতে পারে। এই চিন্তা থেকেই সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে, যেন এদিন একটি বিশেষ ভাতা চালু করা হয়।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ মাসের ১১ তারিখে ওই চিঠির বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, পরীক্ষানিরীক্ষা ক্রমে বিজয় দিবস ভাতা প্রচলনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এ ধরণের বিশেষ ভাতা চালুর মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। পুরো প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময়সাপেক্ষও বটে।
আমাদের পেজে আরও পড়তে পারেন :
ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি সম্বন্ধে দশটি অজানা তথ্য