এম.জুবাইদ,
পেকুয়া (কক্সবাজার)
নামাজ পড়া হল না সেই কিশোর সোহেলের।
সেহেরী খেয়ে রোজা রেখে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে আর নামাজ আদায় করা সম্ভব হলোনা তার। পথিমধ্যে সোনাইছড়ি ছরার পানিতে পড়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
৩০ মার্চ সকাল ৫ টায় কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সোনাইছড়ি মাঝেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে মাঝেরপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের পুত্র।
সকালে স্থানীয়রা সোনাইছড়ি ছরার পানিতে সোহেলের ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পেকুয়া থানার এ এস আই আলামীনের নেতৃত্বে সঙ্গীফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে সোহেলের লাশ বাড়িতে রেখে তার পিতা গিয়াস উদ্দিন ও মাতা জুলেখা বেগমকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, সোহেল মৃগী রোগী। নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসার সময় হয়তো হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পানিতে পড়ে যায়। সোহেল ফজরের নামাজ আর পড়তে পারেনি। কিন্তু আমরা তার জানাজা পড়ব।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, থানায় নিহতের মা-বাবা এসেছিল। তারা বলেছেন সোহেল মৃগী রোগী ছিলেন। পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও নিয়ম অনুযায়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে এবং লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।