ডেস্ক নিউজ: টালিপাড়ার একে একে তারকা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এবার আগামী সপ্তাহেই নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় যোগ দিচ্ছেন টলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী।
কলকাতার ব্রিগেডে জনসভায় সত্যিই বড় চমক দিতে চলেছে বিজেপি। সব ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় হাজির থাকতে চলেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
দলের শীর্ষনেতাদের দেওয়া প্রস্তাবে নাকি ইতোমধ্যেই সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন ‘মহাগুরু। ‘ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সূত্রে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা আগামী রোববার ব্রিগেড সমাবেশে সৌরভ গাঙ্গুলী, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজি চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহাতারকাদের হাজির করানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেইমতো এই তিন মহাতারকার সঙ্গে গেরুয়া শিবির যোগাযোগ করেছে বলেও সূত্রের দাবি।
তবে, সৌরভের ঘনিষ্ঠ সূত্র ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তিনি ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হচ্ছেন না। প্রসেনজিতের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রের দাবি, মিঠুন চক্রবর্তী রোববারের সমাবেশে হাজির থাকার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। যদিও, এখনই তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, আগামী দিনে বাংলার নির্বাচনে মিঠুনকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
দিন কয়েক আগেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। একপ্রকার হঠাৎই বসন্ত পঞ্চমীর সকালে মুম্বাইয়ের মাঢ় অঞ্চলে মহাতারকার বাংলোয় হাজির হন আরএসএস প্রধান। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে মিঠুনের বিজেপিতে যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে। অভিনেতা নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, ‘এই বৈঠক অরাজনৈতিক। তার সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে। ‘
প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সদস্যও করা হয় তাকে। একটা সময় এরাজ্যের শাসকদলের হয়ে ভোটের প্রচারেও দেখা গেছে মিঠুনকে। বছর পাঁচেক আগে একটি চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় মিঠুনের। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠার কিছুদিন পরই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান মিঠুন। ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে রাজ্যসভার সদস্য পদও ত্যাগ করেন ‘মহাগুরু’। তারপর থেকেই কার্যত রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই মিঠুনের। এবার দেখা যাক ‘ফাটা কেষ্ট’ নতুন কী সিদ্ধান্ত নেন।