বাংলাদেশে মানবদেহের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বেচা-কেনার ব্যবসা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ক আইনের সংশোধনীর খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পাচার এবং অবৈধ ব্যবসা বন্ধের লক্ষ্যে খসড়া আইনটি আরো কঠোর করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ‘মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন-২০১৭’ অনুসারে সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো হাসপাতাল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে পারবে না।
তবে যেসব সরকারি হাসপাতালে বিশেষায়িত ইউনিট আছে তাদের এই অনুমতি লাগবে না।
কোনো চিকিৎসক এই আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তার বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রচলিত আইনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অথবা লঙ্ঘনের সহায়তা করলে সর্বোচ্চ সাত বছর এবং সর্বনিম্ন তিন বছর মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড অথবা কমপক্ষে তিন লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ শামীম সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুসারে কোনো ব্যক্তি নিকট আত্মীয় সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য বা তথ্য প্রদানে উৎসাহিত বা ভীতি দেখালে তা অপরাধ হবে এবং সেজন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
উল্লেখিত বিধান ছাড়াও এই আইনের অন্যান্য বিধান লঙ্ঘন করলে অথবা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
প্রস্তাবিত আইনে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয়ের সংজ্ঞায় নাতি-নাতনি খালাতো ভাইবোনসহ সম্পর্কের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে।