রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Date:

Share post:

ডেস্ক নিউজ: রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। মিয়ানমার প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের ে আলাপ হয়েছে। তারা বারবার বলছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে ভেরিফেকশন র পর। তারা কখনও বলেনি, রোহিঙ্গাদের নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

(১০ জানুয়ারি) বেলা ২টায় াম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ু মিলনায়তনে মেজর (অব.) মোহাম্মদ দাদুল সলামের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে দেখেছি, তখন অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল আবার নিয়েও গেছে। ১৯৯২ সালে প্রায় ২ লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা দেশে আসে। পরবর্তীতে আলোচনা মাধ্যমে তারা ২ লাখ ৩০ হাজারকে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস আছে তারা নিয়ে গেছে, সেজন্য আমরা আশাবাদী বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকেও নিয়ে যাবে। কিন্তু কখন নিয়ে যাবে, তা বলা মুশকিল। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য যে ধরনের ক্ষেপ নেওয়া দরকার সব নিয়েছে। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক আলোচনা চালাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাও তবে ‘ইউ মাস্ট এনসিউর সিকিউরিটি এন্ড সেফটি’। তারা অঙ্গীকার করেছে নিয়ে যাবে। কিন্তু এরপরও আজ প্রায় সাড়ে ৩ বছরে একটি রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। কারণ তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব।

তিনি বলেন, গত বছরের ২০ জানুয়ারি মিয়ানমারের সঙ্গে বড় মিটিং হয়। এরপর কো ও ইলেকশনের বাহানা দিয়ে তারা আর মিটিং করেনি। আমরা আশা করছি, নতুন করে তাদের সঙ্গে বসবো। ইনফেক্ট আজকে মিয়ানমারের সঙ্গে মিটিং চলছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ সবদেশে গেছি। সবাই স্বীকার করেছে রোহিঙ্গা স্যা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। তাই সমস্যা নির্মূলও করবে তারা। আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন- সবাই একবাক্যে বলছে মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।

কৌশলগত কারণে প্রতিবেশী দেশ আমাদের পক্ষে থাকেনি উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আন্তর্জাতিক ফোরামেও নিয়ে গেছি। ১৩২টি দেশ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমাদের মূল উদ্দেশ্যে এই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

‘সুতরাং কে কোথায় ভোট দিল, সেটি অত বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। সম্প্রতি জাপানও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। জাপানে মিয়ানমারের অনেক শ্রমিক আছে। তারাও উদ্যোগ নিয়েছে, মিয়ানমারকে বোঝানোর। আমরা সবসময় আশাবাদী। সব সময় বিশ্বাস করি আলোচনার মধ্যে সমাধান আসবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

নির্বাচনের কথা বললেই ভারত-আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে দিচ্ছে: দুদু

নির্বাচনের কথা বললেই দোষ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের কথা বললে ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যারা...

লন্ডনে কোরআন পোড়ানো ব্যক্তি আদালতে দোষী সাব্যস্ত

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে তুরস্কের কনস্যুলেটের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছেন স্থানীয় একটি আদালত।...

বৈঠকে দুই বিষয়ে জোর দিয়েছে জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এর একটি...

বাজেটের দিনে দেশের রিজার্ভে সুখবর

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ২৫৮৮৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন বা ২৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার বলে...