মোঃ রিপন
দৌলতখান(ভোলা)প্রতিনিধিঃ
জন্মের ৮ বছর পর প্রতিবন্ধী জামলের মা মারা যান।মায়ের মৃত্যুর পর নানা বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যান বাবা মোঃ খালেক।তখন থেকে কাজ শুরু জামালের।একদিন কাজ করতে গিয়ে গাছ থেকে পরে মেরুদণ্ড বাকা হয়ে যায়।অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারে নি।তারপর ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।প্রতিবন্ধী মোঃ জামাল ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩ নং কালকোপা ওয়ার্ডের ফকির বাড়ির মৃত আঃ খালেকের ছেলে।
কয়েক বছর পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রতিবন্ধী নাসিমার বেগমের সাথে। বিয়ের ২ বছর পর প্রথম সন্তান মোঃ সালমান( ৮) জন্ম হয়। দ্বিতীয় সন্তান সাদিয়া (৫)তৃতীয় সন্তান মোঃ তানজিদ (১)।পরিবারের ভরনপোষণের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করেন মোঃ জামাল।ভিক্ষা করে ঠিকমতো দু’বেলা দুমুঠো খেতে পারে না।জরাজীর্ণ একটি কুড়ে ঘরে থাকে।বর্ষাকালে পানি পরে ভিজে যায়। শীতকালে উত্তুরে হাওয়ায় এবং প্রবল নিশির প্রভবে সারা বছর শিশুসহ পরিবারের সবাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানায়,জামাল প্রতিবন্ধি কোনো কাজ করতে পারে না।ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে।সরকার যদি তাঁর জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেয় অন্তত ভিক্ষা করে সন্তানদের নিয়ে বেচে থাকতে পারবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা আহমেদ শরীফ জানান, জামাল খুব অসহায়। সে এবং তার স্ত্রী দুজনই প্রতিবন্ধী।ভিক্ষা করে দুমুঠো খায়।কিন্তু থাকার মতো বাসস্থান নেই।একেবারে জরাজীর্ণ একটি কুড়ে ঘর। তিনি বলেন দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন এর এমপি আলী আজম মুকুল এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি যেন এ পরিবারটির পাশে দাড়ান।
অপর স্থানীয় ব্যাক্তি মোহ জাহাঙ্গীর জানান,বৃত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আকুল আবেদ তারা যেন প্রতিবন্ধী জামালের পাশে দাড়াঁন।
প্রতিবন্ধী জামাল জানান,কাজ করতে পারি না ভিক্ষা করে খাই।কিন্তু থাকার মতো ঘর নেই। ভাঙ্গা ঘরে থাকি।আমাদের এমপি আলী আজম মুকুল স্যারের কাছে আবেদন তিনি যেন আমাকে একটি ঘর তৈরি দেন।