ডেস্ক নিউজ: চলতি মাসেই ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় সৌদি আরব। এবার প্রয়োগও শুরু করল দেশটি। যা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শরীরে প্রয়োগের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হলো দেশটিতে।
সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নেওয়া কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুবরাজকে প্রথম ভ্যাকসিন দেয়া হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এসপিএ এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজারের টিকাকে অনুমোদন দেয় সৌদি আরব। করোনা সংক্রমণ রুখতে এর আগে এই টিকা মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম অনুমোদন দেয় বাহরাইন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবে ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি। করোনা রুখতে দেশের স্বাস্থ্য দফতর এবার এই টিকা বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করতে পারবে।’
এদিকে বর্তমানে করোনার দাপট অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশটিতে। সংক্রমণের সঙ্গে কমেছে প্রাণহানিও। বর্তমানে আক্রান্ত দেশের তালিকায় সৌদি আছে পয়ত্রিশ নাম্বারে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৮ জন মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৯ জনের। এ নিয়ে সেখানে প্রাণহানি বেড়ে ৬ হাজার ১৬৮ জনে ঠেকেছে।
তবে আশার কথা হলো, স্বাভাবিক চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগীই সুস্থতার লাভ করেছেন। যার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১৫ জন। চলতি বছরের ১ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় সৌদিতে।
এদিকে, ব্রিটেনে নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আগামী এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক রুটে সবধরনের বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি। নিজ দেশের মানুষদের সুরক্ষা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার।