পঁয়ত্রিশ বছর বয়েসে উইম্বলডন ফাইনাল খেললেন রজার ফেডেরার। শুধু পুরুষদের এককেই নয়, এবারের উইম্বলডনে ৩৭ বছর বয়েসে মেয়েদের একক ফাইনাল খেললেন ভেনাস উইলিয়ামস।
এত বয়েসে কি ভাবে ফিটনেস ধরে রাখেন এই ক্রীড়াবিদরা?
বলা হয় ত্রিশের কাছাকাছি এলেই পেশাদার স্পোর্টসম্যান-ওম্যানরা অবসরের কথা ভাবতে শুরু করেন।
কিন্তু টেনিসে ফেডেরার বা উইলিয়ামসের মত তারকারা যেন এ কথা ভুল প্রমাণ করতে লেগেছেন।
আরো চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এরা দুজনেই চোট-আঘাত মোকাবিলা করেছেন, দীর্ঘ সময় খেলার বাইরে থেকেছেন নিজেদের ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে।
রজার ফেডেরার বয়সের এনার্জি ও ফিটনেস ধরে রাখতে এ বছরের ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলেন নি। এই প্রথম তিনি একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এ নিয়ে কথা হয় অল ইন্ডিয়া টেনিস ফেডারেশনের মহাসচিব হিরণ্ময় চ্যাটার্জির সাথে। তিনি বলছিলেন, রজার ফেডেরার তার কাছে সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়। তার এমনিতেই ইনজুরি কম হয় – কারণ তিনি খেলেন শক্তির ওপর নয়, শরীরের ছন্দের ওপর।
তা ছাড়া রজার ফেডেরার তার বয়স ও ফিটনেসের কথা মাথায় রেখে ঠিক করে নিয়েছেন যে ভালো খেলতে হলে তাকে টুর্নামেন্ট বেছে খেলতে হবে, এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন না খেলার মধ্যে দিয়ে তিনি তাই করেছেন – বলছিলেন মি. চ্যাটার্জি।
তিনি বলছিলেন, এটা এ বয়েসেও তার ফর্ম ও ফিটনেস ধরে রাখার একটা বড় কারণ । অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, নোভাক জোকোভিচ আর এন্ডি মারে চোটের কারণে উইম্বলডনে এবার সুবিধে করতে পারলেন না। রাফায়েল নাদাল ভালো খেলছেন, কিন্তু তিনি শক্তিনির্ভর খেলোয়াড় বলেই তাকে আগামিতেও ফিটনেসের ওঠানামার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হলেন রবি শাস্ত্রী
ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হয়েছেন রবি শাস্ত্রী । আর তার পর পরই রাহুল দ্রাবিড় ও জহির খানকে যথাক্রমে ব্যাটিং ও বোলিং উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।
অধিনায়ক বিরাট কোহলির ইচ্ছায় আগের কোচ অনিল কুম্বলেকে সরে যেতে হয়েছে, কারণ তিনিই চেয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী কোচ হিসেবে আসুন ।
ভারতের মতো তারকা সমৃদ্ধ দলে কোচ হিসেবে ঠিক কি কাজ হবে রবি শাস্ত্রীর ? কোচ কে হবেন তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অধিনায়কের পছন্দটাই বা কেন এত গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠলো?
এ নিয়ে এবারের মাঠে ময়দানেতে কথা বলেছেন ক্রিকেট সাময়িকী উইজডেন ইন্ডিয়ার সিনিয়র সম্পাদক সাম্য দাশগুপ্ত। তিনি বলছেন, ভারতের মতো তারকাসমৃদ্ধ দলে কোচের প্রধান কাজ হবে ম্যান-ম্যানেজমেন্ট। তার সাথে থাকবেন ট্রেনার এবং উপদেষ্টারা।
মি. দাশগুপ্ত বলছিলেন, ভারতের মত দলের ক্ষেত্রে অধিনায়ক যাকে পছন্দ করেন এবং যার সাথে তার একটা ভালো সম্পর্ক ও বোঝাপড়া গড়ে তোলা সহজ হবে – তাকে কোচ নিয়োগ করাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
তিনি বলছেন, এর আগে ভারতীয় দলে কোচ ছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল, জন রাইটদের মতো সাবেক খেলোয়াড়রা। তারাও নিয়োগ পাবার সময় যারা অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি ও রাহুল দ্রাবিড় – তাদের একটা বড় ভুমিকা ছিল।