মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বাগেরহাটের মংলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ‘মাস্টার বাহিনী’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে মাস্টার ও তার ৯ সহযোগী ৫০টি বিদেশি ও দু’টি স্থানীয় বন্দুক এবং ৪-৫ হাজার গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে মজিদ ওরফে কাদের মাস্টার (৪৭), সেকেন্ড ইন কমান্ড সোহাগ আকন (৩৭), ফজলু শেখ (৩৫), সোলায়মান শেখ (২৮), মো. শাহিন শেখ (২৮), মো. হারুন (২৪), মো. আরিফ সরদার (২২), মো. আসাদুল ইসলাম কোকিল (২৭), সুমন সরকার (৩৪) ও মো. সুলতান খান (৫৮)।
সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ বনডাকাতরা সমাজের ক্ষতিকর মানুষ হিসাবে রূপ নিয়েছে। এই উপলব্ধি থেকে তারা আজ আত্মসমর্পন করেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যে কাজ শুরু করেছে সে কাজের জন্য আমরা তাদের সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দিয়ে যাব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পন করেনি তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে আমরা সব ধরনের সহায়তা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুন্দরবনকে নিরাপদ স্থান হিসাবে দেখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরবনকে একটি পর্যটন জোন হিসাবে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, রোববার ভোর ৬টায় অস্ত্রসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) কাছে সুন্দরবনের দস্যু দল ‘মাস্টার বাহিনী’ আত্মসমর্পণ করে। এর আগে ৩ মে মাস্টার বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র্যাবের মহাপরিচালকের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য আবেদন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করেন।