সরকারকে বিব্রত করার জন্য ফরহাদ মজহারের ঘটনা: পুলিশ মহাপরিদর্শক

Date:

Share post:

পুলিশের আইজিপিছবির কপিরাইট focusbangla
Image caption সংবাদ সম্লনে শহিদুল হক জানিয়েছেন, সরকারকে বিব্রত করার জন্য ফরহাদ মজহার ের ঘটনা।

লাদেশে পুলিশের মহািদর্শক শহিদুল হক ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কবি প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহৃত হননি, তিনি স্বেচ্ছায় ঢাকার বাইরে গিয়েছিলেন।

তবে মি: মজহার কিভাবে খুলনায় গিয়েছিলেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ্য মি: হক জানাতে পারেননি, তবে পুলিশ ধারণা করছে বাসে করেই খুলনা গিয়েছিলেন ফরহাদ মজহার।

ফরহাদ মজহার মজহারকে উদ্ধারের পর তাঁর কাছ থেকে নেয়া জবানবন্দি ও পুলিশের তদন্তের সঙ্গে কোনো মিল খুঁজে না পাওয়ার কথা একদিন আগেই জানিয়েছিল পুলিশ।

আর আজ িকভাবে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন করে মিল খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালেন পুলিশের মহাপরিদশর্ক শহিদুল হক।

মি: হক জানান, “আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। উনিতো নিজেই বের হয়েছিলেন। সেদিন উনি তার ের সঙ্গে কথা বলেছেন, তার মোবাইলে একটি মেসেজও এসেছে”।

পুলিশের আইজিপি আরো জানিয়েছেন যে সময়টায় অপহরণকারীদের কাছে থাকার কথা দাবি করেছেন ফরহাদ মজহার, সেই সময় মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। এছাড়াও ফোনের কথোপকথনের সূত্র ধরে তদন্তে অগ্রগতি হয় বলে জানান মি: হক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন “ওই মেয়েটা তাকে জিজ্ঞেস করেছে আমি শুনলাম, জানলাম আপনি নাকি অপহরণ হয়েছেন, তিনটা চল্লিশে উনি মেয়েটাকে খুলনা থেকে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। সব রেকর্ড আমাদের কাছে আছে”।

“উনি বলছেন অপহরণকারীরা তাকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে ছেড়ে দিয়েছে এবং হানিফ পরিবহনের টিকেট ধরিয়ে দিয়ে বলেছে সোজা ঢাকা চলে যাবা। কিন্তু আমরা প্রমাণ পেয়েছি উনি নিজে হানিফ কাউন্টারে টিকেট কেটেছেন এবং নিজের নাম দিয়েছেন মি: গফুর। আর ফোন নাম্বার নিজেরটাই দিয়েছেন। উনি যে হানিফের কাউন্টারে ছিলেন সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে আছে” -বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক।

মি: হক আরো জানান, “বিকাল ৪টা একুশ থেকে ৬টা ২৮ পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টা খুলনায় ছিলেন ফরহাদ মজহার। তিনি যে নিউ মার্কেটে ঢুকেছেন সেই সময়কার ফুটেজও আমরা পেয়েছি”।

ছবির কপিরাইট NASHIRUL ISLAM
Image caption উদ্ধার হওয়ার পর ফরহাদ মজহার

এর আগে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন , ফরহাদ মজহার তাঁর জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন ভোরে বাসা থেকে বের হওয়ার পর অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তোলা হয় এবং চোখ বেঁধে রাখা হয়। এরপর একটি ফেরিতে পার হচ্ছেন বলেও বুঝতে পারেন।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এর মধ্যে কয়েক দফায় মুক্তিপণ য়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে তার মোবাইল ফোন থেকে ফোনও করা হয়। এরপর হাসপাতালেও ভর্তি হন মি: মজহার।

ওই ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর আজ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক জানান “ঘটনার পরে যে গুলি, উনার পক্ষে যেসব বক্তব্য এসেছে, এসব দেখে ধারণা হয় সরকারকে বিব্রত করতে এ ঘটনা। সরকারকে দায়ী করে বিব্রত অবস্থায় ফেলা এবং কিছু টাকা নিজের আয়ত্তে আনতে তিনি এরকমটা করেছেন”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

প্রশংসায় ভাসছেন ইরানের সাহসী নারী সংবাদপাঠিকা সাহার ইমানি

ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠেছিল ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র। খ্যাতিমান উপস্থাপিকা সাহার ইমানির সংবাদ পাঠ চলার মধ্যেই...

মোসাদের আস্তানা ও সেনাবাহিনীর ওপর ইরানের হামলা

ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, এবার মোসাদের আস্তানা ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (...

ভয়ংকর সংঘাত আরও দুদিন চলতে পারে

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি যে সংঘাত চলছে তা আরও ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে বলে...

ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান

ইরান ও ইসরায়েল আবারও হামলা ও পাল্টাহামলায় লিপ্ত হয়েছে। সোমবার রাতে তেলআবিবকে লক্ষ্য করে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ...