আমি শতভাগ নিশ্চিত ছেলেটাকে কেও খুন করেনি।
ওর নাম উল্লেখ করলাম না,কারণ ৯৯% পার্সেন্ট মানুষ ধরেই নিয়েছে ওর বউ ওকে খুন করেছে।
বেচারী ওকে খুন কেনো করবে?
শ্বাশুড়ীর ঈর্ষণীয় ভুমিকায় নিজের জান বাঁচানো দ্ধায় হয়ে যাচ্ছিলো।
কি অবাক ব্যাপার, শ্বাশুড়ী একজন মহিলা হয়ে ও ওকে প্রতি মুহূর্তে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবতে থাকে।
চলচ্চিত্রে কাজ করার সুবাদে রাজীব সাহেব কে বাবা বলে ডাকতেন, আমাকে মা।
আমি ও মাঝে মাঝে সুটিং এ যাই, কাজের ফাঁকে যতটুকু চোখে পড়তো, হ্যা দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আছে।
শুধু আমি না অনেকেই খেয়াল করেছেন।
ছোট মানুষ অল্প বয়সে অগাধ টাকা সাথে মেয়ে মানুষ এর প্রেম নিবেদন।
নিজের রিপূ দমন করতে পারেনি।
বাসায় আসলে পরকীয়ার কৈফিয়ত,যাকে দিনের পর দিন সাধনা করে বিয়ে করলো তার সাথে বেঈমানীর বিবেক এর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ফেন্সিডিল তরল পানিয়তে নির্ভর হয়ে পড়ে।
একসঙ্গে কাজের সুবাদে রাজীব সাহেব এর বেশ কয়েক বার ওদের বাসায় আসা যাওয়া হয়।
মেয়েটাকে বিভিন্নভাবে অপমান করা থেকে গায়ে হাত ও তুলা হতো।
শ্বাশুড়ী বউ এর গায়ে হাত তুলে এই নিয়ে মা ছেলের ও মারামারি হতো।
পরবর্তীতে বউ এর প্রতি ওর মার এমন আচরণ দেখে রাজীব সাহেব ঐ বাসায় যাওয়া বন্ধ করলেন।
মহিলা বারবার ফোন দিতে থাকে বাসায় যাওয়ার জন্য।
আমাদের বুঝতে বাকি রইলো না উনি কি চান।
এক সময় ওরা আলাদা হয়ে বাসা নিলো।
বেচারীর সুখ সইলো না, আর এক মেয়ে মানুষ তার সুখ কেড়ে নেওয়ার পাগলামিতে মেতে উঠলো।
মাঝখানে ছেলেটা নিজের দোষেই দিশাহারা হতে থাকে,ঘর ওয়ালী বাহার ওয়ালী মা ওয়ালী সবাই ওর চারিদিকে যন্ত্রণার খড়গ নিয়ে ওকে ধাওয়া করতে থাকে।
বেচারা ইমোশন সামাল দিতে ব্যার্থ হয়ে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে সমস্থ যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে বিদায় নিলো।
ওর মা আর এরশাদ সাহেব এর গল্প সবার মুখে ফিরতো।
মা ইলেকশন করবে ছেলে অনেক বাধা দেওয়ার পরও ইলেকশন করে জামানত বাজেয়াপ্ত হলো।
এই কারণ গুলো ও ছেলের যন্ত্রণার কারণ ছিলো।
আমার জয় বিজয় মারা যাওয়ার এক বছর পরেই ও আত্মহত্যা করে।
যেহেতু পারিবারিক সম্মর্ক সেদিন সারাদিন আমি ওর মাকে আগলে রেখেছিলাম।
ঢাকা মেডিক্যাল থেকে ওর মাকে সাথে নিয়ে ওদের বাসায় যাই।
ওর মার বেডরুমে ঢুকে খানিকটা অপ্রস্তুত হই, কারন বেডরুমের দেয়াল জুড়ে এরশাদ সাহেব এর বিশাল বাঁধানো ছবি।
আমার সামনেই কি কারনে যেনো মেকআপ বক্স খুললেন আয়নার জায়গায় এরশাদ সাহেব এর ছবি ই শোভা পাচ্ছে।
ওর মৃত্য আমার দৃষ্টিতে এমনই ছিলো।
লেখিকা
দেবী গাফফার