মেঘে মেঘে বেলা যে কম গেল না! আগামী মাসে পা রাখবেন পঁয়ত্রিশে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষেই বিদায় বলতে পারেন। ধরে নেওয়া যাক, তা ঘটল না। তবুও প্রশ্নটা থেকে যায়। কারণ, আগামী এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। মাশরাফি এই সংস্করণকে বিদায় বলেছেন আগেই। দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে তাই বলাই যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতেই মাশরাফির ক্যারিয়ারের শেষ এশিয়া কাপ। আর এই এশিয়া কাপেই হবে তাঁর অন্য রকম ‘অভিষেক‘!
অভিষেক? সে তো হয়ে গেছে এক যুগ আগেই। পাকিস্তানে ২০০৮ এশিয়া কাপ দিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে অভিষেক মাশরাফির। এরপর এশিয়া কাপের প্রতিটি টুর্নামেন্টেই খেলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাহলে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক? সেই উপলক্ষও অতীত। দুই বছর আগে ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে এই টুর্নামেন্টে অভিষেক ঘটেছে মাশরাফির। তাহলে কিসের অভিষেক?
মজাটা এখানেই। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করা এশিয়া কাপ সব সময়ই ছিল ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে শুধু ২০১৬ সালের টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আয়োজন করা হয়েছিল। সেটি অবশ্য ওই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে। আর দুই বছর আগের সেই টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপেই অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হন মাশরাফি। কিন্তু ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপে ‘অধিনায়ক’ মাশরাফির এখনো অভিষেক ঘটেনি।
আরব আমিরাতেই ঘটবে মাশরাফির সেই অন্য রকম অভিষেক। আগামী বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপের আয়োজন হচ্ছে ওয়ানডে সংস্করণে। আর অধিনায়ক হিসেবে এই ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন মাশরাফি। এর সঙ্গে আরেকটি প্রথমও কিন্তু হাতছানি দিয়ে ডাকছে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’কে।
ওয়ানডেতে মাশরাফি বাংলাদেশের সর্বোচ্চসংখ্যক উইকেটশিকারি। আর মাত্র ৫ উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই সংস্করণে আড়াই শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন মাশরাফি। দলের কাছ থেকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মাশরাফির সেই মাইলফলকটিরও অপেক্ষায় গোটা দেশ।