দুদেশর নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে হাসিনার ভারত সফরে

Date:

Share post:

আসন্ন সফরে ভারতের নতুন ্রতিরক্ষা চুক্তি সই বেন ্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার’র এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

অবশ্য শেখ হাসিনার এই সফরের দিনক্ষণ কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। ডিসেম্বরে এই সফর হওয়ার কথা থাকলেও দুই প্রধানমন্ত্রীর ‘ব্যস্ততা এবং আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতির অভাবে’ তা স্থগিত হয়ে যায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

‘সব দিকেই ইতিবাচক ইঙ্গিত, হাসিনার ভারত সফর ফলপ্রসূ হওয়ার আশা’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘-ভারত কিন্তু নতুন বছরের রাস্তাকে ও মসৃণ করতে তৎপর। সম্পর্কে এক সুতো ব্যবধানও থাকবে না।’

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরে দিল্লি সফর করবেন। কথা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সব বিষয়ে সমাধান সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে অনেক দিন। শেখ হাসিনা দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছেন। ভারতের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান লোকসভায় জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তি রূপায়ণের বিষয়ে ভারত সরকার উদ্যোগী। সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ভারতের মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অসুস্থ। কয়েক দিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।

অবশ্য এর আগে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিরোধে’ তিস্তা চুক্তির উদ্যোগ ভেস্তে যেতে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে তিস্তা চুক্তি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে করতে প্রস্তুত নয়।

তবে শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ চাইছে- উত্তরবঙ্গে পানির নিশ্চয়তা দিয়ে যেন তিস্তা চুক্তি করা হয়। চুক্তিতে কারা কতটা পানি পাবে তা নিয়ে ভাবনা চলছে। বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় তার মীমাংসা হওয়ার আশা।’

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে বয়ে যাওয়া মুরী নদী নিয়ে সমস্যা আছে। ত্রিপুরার দিকে চর জাগায় নদীটি বাঁক নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। চরের মালিকানা দাবি করছে বাংলাদেশ। ভারত বলছে, চর নয়, শুধু পানি বাংলাদেশের অধিকার। দ্বিমতকে একমতে আনাটাই এখন দুদেশের লক্ষ্য। আন্তরিক আলোচনায় তার বিহিত হওয়ার সম্ভাবনা।

প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দিল্লিতে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন হাসিনা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেছেন। ে সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন তিনি।’

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কথা বলেছেন। ৩০ মিনিটের কথাবার্তায় সন্ত্রাস দমনে দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। সন্ত্রাসের শেষ দেখতে চান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

নকল সরবরাহ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এইচএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের সময় মৃদুল হাসান নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই)...

আমি সৌদিতে দারুণ সময় কাটাচ্ছি, আজীবন সৌদিতেই থাকতে চাই : রোনালদো

বিভিন্ন সময় গুঞ্জন উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ বা লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাবে পাড়ি জমাতে পারেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সব...

ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৩৪

ভারতে একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয়...

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

জুলাই আন্দোলন দমনে সারা দেশে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩১১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এর মধ্যে শুধু...