‘মাশরাফি ভাইয়ের অনেক অবদান’

Date:

Share post:

টেস্টে খুবই বাজে খেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কীভাবে বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করল, সে আলোচনা এখনই চলছে। সাফল্যের গল্প শোনাতে গিয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তামিম ইকবাল বড় কৃতিত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে

সাফল্যের গল্প শুনতে একঘেয়েমি লাগে না কখনো। প্রতিবারই অনুভব হয় নতুন শোনার রোমাঞ্চ। বাংলাদেশ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। এখনো চলছে আনন্দদায়ী সেই স্মৃতিরোমন্থন। এ স্মৃতিরোমন্থনে যাঁকে যথার্থ মনে হবে, তিনি তামিম ইকবাল। তাঁর ধারাবাহিক দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়েও।

তামিম অবশ্য কৃতিত্ব নিজে নিতে চান না। টেস্ট সিরিজে অমন ভরাডুবির পর দলটা যে রাতারাতি বদলে গেল, বাঁহাতি ওপেনার সব কৃতিত্ব দিতে চান বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে, ‘টেস্ট সিরিজে বাজে খেলার পর মানসিকভাবে আমরা বিপর্যস্ত ছিলাম। আমাদের জন্য ওয়ানডে সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানতাম এই সংস্করণে আমরা সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে মাশরাফি ভাইয়ের অনেক বড় অবদান। তিনি আরেকজনের হয়ে ব্যাটিং ও বোলিং করে দেননি। তবে দলের ভেতরের পরিবেশ বদলে দিতে অনেক সাহায্য করেছেন। একটা বাজে টেস্ট সিরিজের পর খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক নেতিবাচক মনোভাব থাকে। তিনি যে ইতিবাচক মনোভাবটা নিয়ে এসেছেন, সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটা বড় কারণ ছিল। প্রথম ওয়ানডেতে কঠিন উইকেটে কষ্ট করে টিকে ছিলাম আমরা। সেটার ফল পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে এটাই দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। এভাবেই ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছি।’

বাংলাদেশের প্রথম পরীক্ষা ছিল টেস্টে বাজে খেলার পর ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানো। গায়ানায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবারও একই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ পা রাখে সেন্ট কিটসে। সিরিজ ১-১ সমতা নিয়ে সেন্ট কিটসে খেলতে নামা বাংলাদেশ সিরিজটা শেষ পর্যন্ত নিজেদের মুঠোয় নিয়েছে। এখানেও মাশরাফিকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জেতা দুটি ওয়ানডেতেই ম্যাচসেরা হওয়া তামিম, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজটা জিতে নিতে। গায়ানার উইকেট আমাদের অনুকূলে ছিল। বল ঘুরছিল, মাঠ বড় ছিল। সেন্ট কিটস, সত্যি কথা বলতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশি অনুকূলে ছিল। দ্বিতীয় ওয়ানডে হারার পর মাশরাফি ভাইসহ বসেছিলাম। এখানেও মাশরাফি ভাইয়ের অনেক বড় অবদান। তিনি বলছিলেন, আমরা যদি আগে থেকেই চিন্তা করে নিই যে ওরা আমাদের থেকে এগিয়ে, তাহলে খেলার আগেই হেরে যাব। শেষ ওয়ানডে খেলার তাহলে মানে হয় না। এ মনোভাব নিয়ে খেলতে চেয়েছি যে ওদের জন্য যতটা কঠিন হবে, আমাদের জন্যও ঠিক ততটুকু কঠিন হবে। আমরা মাঠে ভালো করে দেখাতে চেয়েছি।’

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সেটা পেরেছেও। পেরেছে বলেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে সাফল্যের হাসি হাসতে পেরেছেন তামিমরা। এবার সামনে এশিয়া কাপ। হাসিটা ধরে রাখাই হবে তাঁদের চ্যালেঞ্জ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...