বাংলাদেশের টি টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বাঁ হাতের আঙ্গুলের চোট সারতে অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। সাকিব মনে করছেন এশিয়া কাপের আগে অস্ত্রোপচার করাটাই ভাল হবে। সাকিব বলেন, “এখন যেহেতু অস্ত্রোপচার করতেই হবে সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ততই ভাল। আমি নিজেও চাইনা ফিট না থেকে মাঠে নামতে।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে যে চোট পেয়েছিলেন, তা সাকিবকে এখনো ভোগাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটিতে ইনজেকশন নিয়ে ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যা আপাত সমাধান হলেও এই চোট থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে হলে অস্ত্রোপচার লাগবেই সাকিবের আঙুলে, বলছেন বিসিবির এই চিকিৎসক।
এই ধরনের অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরতে সময় লাগে ছয় থেকে আট সপ্তাহ। তাই ধারণা করা হচ্ছে এশিয়া কাপের আগে অস্ত্রপচার করা ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সেই চোট নিয়ে পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি সাকিব। শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ভাগেও ছিলেন বাইরে।
বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে এশিয়া কাপে ভাল খেলছে। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও এর মধ্যে তিনটি এশিয়া কাপের দুটিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব। চার ম্যাচে ২৩৭ রান ও ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
কাজেই সাকিব না থাকলে বাংলাদেশ দলের খেলায় কতটা প্রভাব পড়বে? বাংলাদেশের একজন ক্রিকেট কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “সাকিব যেভাবে খেলে সেটা মিস করাটাই স্বাভাবিক, কারণ বলে ব্যাটে এভাবে প্রভাব খাটানো ক্রিকেটার কমই আছে। সে এখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এটা আমরা ১০ বছর আগে ভাবিনি”
মি. সালাউদ্দিনের মতে, সাকিবকে বিশ্বের যে কোনো দল মিস করবে কারণ সে দুই পাশ থেকেই অভাবমোচন করায়। যেমন হয় বল নতুবা ব্যাট উভয় দিকেই তার অবদানের সম্ভাবনা থাকে। এমন কিছু অলরাউন্ডার আছে যারা বোলিং বা ব্যাটিং যে কোন একটা দিক একটু ভাল পারে। কিন্তু সাকিবের ব্যাপারটা ভিন্ন কারণ দুটোতেই একেবারে সমানভাবে তার ওপর নির্ভর করে দল।
সাকিব দলে ভারসাম্য নিয়ে আসে, যেটা তারে ভিন্নমাপের অলরাউন্ডার হিসেবে তৈরি করেছে বলে মনে করেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বাংলাদেশের গেম ডেভেলপমেন্টের আরেক কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় সাকিব দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যে পর্যায়ে সাকিব খেলেন বা যেসব লোকের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে এসেছেন, সেটি সাকিবকে ক্রিকেট জ্ঞানে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে। তাই দলে এমন ক্রিকেটারের গুরুত্ব সবসময় থাকে।