যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নিঃশর্তে আত্মসমর্পণ করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বুধবার টিভিতে এক সংবাদ উপস্থাপক খামেনির একটি বিবৃতি পড়ে শুনিয়েছেন। তাতেই খামেনি বলেন, তার দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আহ্বান মেনে নেবে না।
গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে খামেনি এই প্রথম টিভিতে বার্তা দিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ কিংবা শান্তি কোনোটিই তার ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
“বুদ্ধিমান মানুষ যারা ইরানকে জানে, ইরানি জাতিকে জানে এবং এর ইতিহাস জানে, তারা কখনও এই দেশের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষায় কথা বলে না। কারণ, ইরানি জাতি আত্মসমর্পণ করবে না।
“আমেরিকানদের জানা উচিত যে, কোনওরকম মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে,” বিবৃতিতে বলেন খামেনি।
গত শুক্রবার ইসরায়েল আচমকা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর গত ছয়দিন ধরে দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে আকাশপথে একের পর এক হামলা, পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
তেল আবিব বলছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ায় তারা এ হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে তেহরান বলছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না। তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।
এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ট্রুথ স্যোশালে এক পোস্টে ইরানকে ‘নিঃশর্তে আত্মসমর্পণ’ করতে বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অভিমুখ যাওয়া ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করাসহ অন্যান্য উপায়ে তেল আবিবকে পরোক্ষ সহায়তা করছে। তবে এরই মধ্যে তারা মধ্যপ্রাচ্যে অনেক যুদ্ধবিমান নিয়ে এসেছে বলে তিন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন।
ওদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলেও খবর এসেছে।
এরই প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করলেন।