কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত তিন কর্মী আহত হয়েছেন। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদ–সংলগ্ন গরুর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, বিএনপির স্থানীয় কর্মী হামিদুল, আরিফ ও টিপু। তাদের ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সমন্বয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ভোটার তালিকা তৈরির প্রস্তুতি বিষয়ে ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকে চলছিল। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে। সেখানে সার্চ কমিটির সদস্য ও দলটির নেতা রবিউল ইসলাম সরকার, আসাদুজ্জামান মিঠু, শামসুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা ছিলেন। একপর্যায়ে রবিউল ও আসাদুজ্জামানের সঙ্গে শামসুল ও তার পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
বৈঠকের শেষ মুহূর্তে হঠাৎ ইউনিয়ন পরিষদ–সংলগ্ন গরুর হাট এলাকায় গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের লোকজন দুদিকে অবস্থান নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। দিবাগত রাত ১২টার দিকে সেনাসদস্যেরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিএনপি নেতা শামসুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হওয়ার কারণেই পরিকল্পিতভাবে এই নাটক শুরু হয়েছে। মিটিং শেষে আসাদুজ্জামান মিঠু আমাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছেন। আমি চলে আসার পরই মূলত এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওই ঘটনা আসাদুজ্জামান, রবিউল আর ধরমপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নান্টুর নেতৃত্বে ঘটেছে। তারা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন।’
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের কনুইয়ে গুলির আঘাত দেখা গেছে।
সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে গুলির ৫টি খোসা ও ৪টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে বুধবার সকাল পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।