আজ ২২ শ্রাবণ, রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবসে সংগীতশিল্পী অদিতি মহসিনকে দেখা যাবে বেশ কিছু টিভি চ্যানেলে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকে তুলে ধরবেন নিজ কণ্ঠে। গতকালও তিনি রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানের শুটিং নিয়েই ব্যস্ত দিন পার করেছেন। এর ফাঁকে তিনি কথা বললেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবসে প্রথমবারের মতো নাগরিক টিভিতে সরাসরি গাইবেন। কেমন লাগছে?
২২ শ্রাবণ (আজ সোমবার) রাত ১১টায় নাগরিক টিভির ‘নাগরিক ক্যাফে’ অনুষ্ঠানে সরাসরি গাইব। যেহেতু উপলক্ষ রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবস, সেহেতু অবশ্যই এটি আমার জন্য বিশেষ কিছু। নাগরিক টিভির কোনো অনুষ্ঠানে এর আগে গাইনি। নতুন এই চ্যানেল যেন উৎসাহ পায়, তাই তাদের আমন্ত্রণে সেখানে সরাসরি গাইব। সেই অনুষ্ঠানের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আর কোনো অনুষ্ঠানে গাইবেন?
সরাসরি থাকছি ‘নাগরিক ক্যাফে’তেই। এর বাইরে প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আগে ধারণকৃত কিছু অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে দীপ্ত টিভিসহ বেশ কয়েকটি চ্যানেলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও প্রয়াণ দিবস দেশে যেভাবে পালিত হচ্ছে, আপনার কাছে কি মনে হয় এটি যথার্থ?রবীন্দ্রনাথ তো প্রতিদিনের। কিন্তু আমাদের এখানে শুধু জন্ম ও প্রয়াণ-এই দুটি দিনের মধ্য দিয়ে তাঁকে স্মরণ করা হয়। সেটা ঠিক নয়। শিল্পী হিসেবে বছরজুড়েই রবীন্দ্রসৃষ্টির উদ্যাপন হওয়া উচিত। তাঁর সৃষ্টিকে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
বর্তমান সময়ে যা ঘটছে, যেসব সংকট রয়েছে, আপনার কি মনে হয় রবীন্দ্রচর্চার মধ্য দিয়ে তা উতরে যাওয়া সম্ভব?
আমরা একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই অস্থিরতা বলতে আমি নির্দিষ্ট তিন, চার বা সাত দিনের কথা বলছি না। আমি সামগ্রিক অর্থে বলছি। এই অস্থিরতা দূর করার জন্য আমাদের রবীন্দ্রচর্চা তো করতে হবেই। এর পাশাপাশি আমি মনে করি, আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও বাড়াতে হবে। সাংস্কৃতিক আবহে থাকলে অশান্তি একটু হলেও কমবে। আমরা বুঝতে পারব, শুধু ভার্চ্যুয়াল জগৎ নয়, আমাদের চারপাশে বিস্ময়ের অনেক উপাদান ছড়িয়ে আছে। এ জন্য সংস্কৃতিচর্চা খুব জরুরি।