চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি জব্বরের বলী খেলায় তেরবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়া দেশ সেরা দিদার বলী সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে এখন একজন শীর্ঘ ইয়াবা ব্যবসায়ী। গত ২৮ জুন ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের জালে দিদার বলী তার তিন সহযোগী সহ ধরা পড়েছে। এ সময় দিদারের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার থেকে দুইশ পিস ইয়াবা পিছ পাওয়া গেছে।
ময়নমসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আশিকুর রহমান দিদার বলীর আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ সদরের স্টেশন রোড এলাকা থেকে ২৭ জুন রাতে ইয়াবাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও জব্দ করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার বলী পিতা: আশরাফ আলী, শওকত হোসাইন পিতা: আবদুল মান্নান, মোঃ ইসমাইল পিতা: আবদুল করিম এবং আবদুল আজিজ পিতা: আবু সৈয়দের ছেলে । গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গত ২৯ জুন গোয়েন্দা পুলিশের রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে ময়মনসিংহ সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেছে।
রাতারাতি দিদারের বিলাস বহুল জীবনধারা দেখে স্থানীয়রা কয়েক বছর আগেই ধারণা করেছিলো সে ইয়াবা সিন্ডিকেটে জড়িয়েছে। দিদারের অন্তত তিনটি প্রাইভেট কার, স্টেশনে একটি মার্কেট গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় রামু থানা পুলিশের কাছে নানান সূত্রে এমন সংবাদ থাকলেও তেমন কোন প্রমান না থাকায় দিদারের ইয়াবা ব্যবসার বিষয়ে তারা তেমন কোন তথ্য জানাতে পারেনি। তবে স্থানীয় থানা সূত্রে জানা গেছে চলতি বছরের ১৭জুন তারিখে তফুরা বেগম নামের এক মহিলা মারধর করে আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগে দিদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দিদারের বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রামুর বাসিন্দা দিদারর বেশীর ভাগ সময় কক্সবাজারে বসবাস করতো। ধারণা করা হচ্ছে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী গ্রামের বাসিন্দা দিদার গত তিন বছর যাবৎ পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে তার মাদক ব্যবসা পরিচালিত করতো।