স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের ছাদ থেকে তাকালেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবার টিনশেড বাড়িটি। শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে বসে অনেক রাজনৈতিক সভা করেছেন বঙ্গবন্ধু। এই মাঠের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর শহরের সেই মাঠেই আবারও ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
এক মৌসুম আগেও গোপালগঞ্জ ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের হোম ভেন্যু। গত মৌসুমে গোপালগঞ্জকে আর ভেন্যু করা হয়নি। তবে এক মৌসুম বিরতি দিয়েই আবার এই জেলা শহরকে অন্যতম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিল বাফুফে। কাল উত্তর বারিধারা-বিজেএমসি ম্যাচটি দিয়ে আবারও শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়াম ফুটবল রোমাঞ্চ গায়ে মাখল। ম্যাচটি অবশ্য জয়-পরাজয় কিংবা আনন্দ-বেদনার বিপরীত ছবি আঁকেনি। অর্থাৎ দুই পক্ষকেই খুশি রেখেছে, গোলশূন্য ড্র।
ক্রিকেটের বিপিএল, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা, আয়োজকদের প্রচারণায় উদাসীনতা—সব মিলিয়ে ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামে ছিল দর্শকের ভাটা। গোপালগঞ্জেও প্রায় একই চিত্র। ফুটবলারদের পোস্টার-সংবলিত বিপিএলের তোরণ নেই একটিও। তবে শহরের অদূরে চন্দ্র দিঘলিয়ার রাস্তায় চোখে পড়ল ভ্যানে বাঁধা একটি মাইক—আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে খেলা দেখার।
শীতের বিকেলে স্বাগতিক জেলা ক্রীড়া সংস্থা যেভাবেই প্রচারণা চালাক না কেন, গ্যালারি কিন্তু প্রায় উপচে পড়েছিল। পাঁচ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছাড়াও দুই পাশের লোহার ফেঞ্চিং ঘেঁষেও দাঁড়িয়ে রইলেন অনেক দর্শক। ভুভুজেলা, বাঁশি আর নানা রকম প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এসেছিলেন গোপালগঞ্জবাসী। ম্যাচ যতই গড়িয়েছে, দর্শকও বেড়েছে একটু একটু করে।
তবে যতটা আগ্রহ নিয়ে দর্শকেরা এসেছিলেন, ততটা মন ভরানো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি কোনো দলই। তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিল বিজেএমসি। কিন্তু দুর্বল ফিনিশিংয়ের কারণে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা তারা পায়নি।
ফুটবল উৎসবে মাতোয়ারা জনকের শহর
Date:
Share post: