বিশ্বের এই মূহুর্তে এমন দেশ আছে ছয়টি যেখানে পুরুষের চেয়ে নারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেশি।
দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মঙ্গোলিয়া ও ফিলিপিন্স।
১৪০টি দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট আছে সেটি প্রচলিত ব্যাংকেই হোক আর মোবাইল ব্যাংকিংয়েই হোক।
অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৯ শতাংশেরই এ ধরনর ব্যাংক হিসেব আছে যা ২০১১ সালে ছিলো ৫১শতাংশ।
এ রিপোর্টের তথ্য মতে এক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়েই আছেন, কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাদের ব্যাংক হিসেব আছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৭২ শতাংশ আর নারী ৬৫ শতাংশ।কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে?
২০১১ সালের হিসেবেও নারী পুরুষের ব্যবধান ছিলো একই।
তাহলে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার ছয়টি দেশে উল্টো চিত্র এলো কীভাবে?
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ লিওরা ক্ল্যাপার এক্ষেত্রে কিছু ক্লু দিচ্ছেন।
তাঁর মতে, ফিলিপিন্সে যেমন অনেক বেশি সংখ্যায় নারীরা দেশের বাইরে যাচ্ছেন কাজে এবং তাদের ব্যাংক হিসেব আছে।
পরিবারকে সহায়তা করতে এসব নারীরা প্রচুর অর্থ পাঠান রেমিটেন্স হিসেবে।ফিলিপিন্সের প্রচুর নারী বিদেশ থেকে দেশে নিজেদের ব্যাংক হিসেবে টাকা পাঠিয়ে থাকেন
আবার ছয়টি দেশেই (লাওস ছাড়া) সরকারি নানা কর্মসূচিতে নারীরা নগদ অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন যে অর্থ তাদের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়।
মঙ্গোলিয়াতে যেমন ৪৩ শতাংশ নারী এমন অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন যেখানে দেশটির ২৪ শতাংশ পুরুষ এমন সহায়তা পায়।
ইন্দোনেশিয়ায় বছরে অন্তত একবার অর্থ জমা কিংবা প্রত্যাহার সচল থাকা ব্যাংক হিসেব গুলোতে নারী ও পুরুষের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই।
যদিও অন্যভাবে দেখলে একটি কারণে নারীদেরই বেশি ব্যাংক হিসেব হবে কারণ কিছু সরকারি কর্মসূচি থেকে তারা অর্থ পেয়ে থাকে।
কিন্তু এসব কর্মসূচিগুলো থেকে টাকা উত্তোলনের পর অনেকেই আবার এ ধরণের ব্যাংক হিসেবগুলো বন্ধ করে দেন।
তবে এখানে অন্য আরেকটি বিষয়ও আছে।
সেটি হলো ফিলিপিন্স ছাড়া অন্য দেশগুলোতে সচল থাকা হিসেবের সংখ্যায় নারীরা যে পুরুষের চেয়ে বেশি হবে সেটি নয়।
ভারত যেমন ব্যাংক হিসেব খোলার ক্ষেত্রে লিঙ্গ পার্থক্য অনেকটা কমিয়ে এনেছে কিন্তু নারীদের নামে থাকা ব্যাংক হিসেবে অন্তত অর্ধেক নিষ্ক্রিয়।
আর এটিকেই ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন লিওরা ক্ল্যাপার।