ঢাকার কাছে মুন্সিগঞ্জ জেলার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার শাহজাহান বাচ্চুকে সিরাজদিখান উপজেলায় তার গ্রামের বাড়ির কাছে একটি দোকানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ জায়েদুল আলম বিবিসিকে জানিয়েছেন, ইফতারির ঠিক আগে দুটি মোটরবাইকে কয়েকজন যুবক তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলি করার আগে কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক নাসিরউদ্দিন উজ্জল জানিয়েছেন, মি. বাচ্চু বামদল সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সাপ্তাহিক বিক্রমপুর নামে একটি পত্রিকা অনিয়মিতভাবে প্রকাশ করতেন।
ঢাকায় বিশাখা প্রকাশনী নামে তার একটি প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে।কীভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে পথশিশুরা?
নাসিরউদ্দিন জানান, নিহতের এক মেয়ে তাকে বলেছেন, তার বাবা ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করতেন বলে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার সন্দেহ।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলছেন, নিহতের স্ত্রী তাকে জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে কে বা কারা কোন কারণে এই হুমকি দিয়েছিল নিহতের স্ত্রী তা পরিষ্কার করে জানাতে পারেননি।
পুলিশ সুপার বলেন, লেখালেখির কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা তারা খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।
“তার ফেসবুক পাতা দেখছি। সেখানে আমরা কিছু সুরার ব্যাখ্যা দেখেছি। কবিতা লিখেছেন তিনি। রাজনীতি নিয়ে লেখা আছে। হিন্দু দেবতা কৃষ্ণকেও নিয়েও লিখেছেন। তবে সবই ইন্টেলেকচুয়াল টাইপের। বামধারার রাজনীতিক ছিলেন তো। কিন্তু বিদ্বেষ বা উস্কানি চোখে পড়েনি।”
শাহজাহান বাচ্চুর দুই স্ত্রী। এক স্ত্রী থাকেন ঢাকায়, অন্যজন গ্রামে।
পুলিশ বলছে, তিনি সাংসারিক কোন্দল বা এলাকায় কোন্দলের শিকার হয়েছেন কিনা তাও খুঁটিয়ে দেখবেন তারা।
“এখনই হত্যার মোটিভ সম্পর্কে বলা যাবেনা,” বলছেন এসপি জায়েদুল আলম।