ডাইভিং অর্থাৎ রেফারিকে ধোঁকা দিয়ে পেনাল্টি পেতে প্রতিপক্ষের গোলের সামনে ইচ্ছা করে আছাড় খেয়ে পড়া নিয়ে বাদানুবাদের শেষ নেই।
কিন্তু নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে চৌঠা ফেব্রুয়ারি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে লিভারপুল এবং টটেনহ্যামের মধ্যে এক ম্যাচের পর।
একদম শেষদিকে লিভারপুলের গোলমুখে পড়ে গিয়ে পেনাল্টি পেয়ে খেলা ড্র করে ফেলে টটেনহ্যাম। ক্ষেপে আগুন হয়েছেন লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ। সেই সাথে ডাইভিং নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বাদানুবাদ।
আর এই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছেন লন্ডনের ক্লাব আর্সেনালের ফরাসী ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গার। বলেছেন, বিদেশী ফুটবলারদের কাছে শিখে ইংলিশ ফুটবলাররা এখন ডাইভিং-এর মাস্টার হয়ে গেছেন।
কিন্তু ওয়েঙ্গারের কথা কতটা গ্রহণযোগ্য?
ক্রীড়া ভাষ্যকার মিহির বোস বলছেন, একসময় ইংলিশ ফুটবলাররা একসময় দাবি করতেন তারা মেরে খেললেও পেনাল্টি পেতে প্রতারণা করতেন না।
“ডাইভিংয়ের জন্য একসময় সবচেয়ে দুর্নাম ছিল ইটালির ফুটবলারদের। জার্মানদেরও অনেক দুর্নাম ছিল…এমনকী ক্লিন্সম্যানের মতো বড় তারকারও ডাইভিং নিয়ে দুর্নাম ছিল।”
মি বোস বলেন, গত ৩০ বছরে দক্ষিণ আমেরিকা, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ থেকে অনেক খেলোয়াড় ইংল্যান্ডে এসেছেন, আসছেন এবং ডাইভিং নিয়ে অন্যান্য লীগের মতো ইংলিশ লীগেও এখন সমানে কথা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন এটা দূর করতে গেলে অন্যান্য খেলার মতো ফুটবলেও ভিডিও ফুটেজের সাহায্য নিতে হবে। “ডাইভিংয়ের জন্য শাস্তি দিতে ফিফা এখন রেফারিদের অনেক ক্ষমতা দিয়েছে, এখন তাদের বলা উচিৎ সন্দেহ হলে কেরা থামিয়ে ফোর্থ অফিসিয়ালদের সাথে পরামর্শ করে নিতে।” মরক্কোর তাঞ্জের শহরের পরিত্যক্ত ক্রিকেট স্টেডিয়াম
মরক্কোতে ক্রিকেট
বছর বিশেক আগে উত্তর আফ্রিকার এই দেশে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল।
আরব ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বুখাতির, যিনি ইউএই’র শারজায় ক্রিকেট শুরু করেছিলেন, তার চোখ পড়েছিল মরক্কোর ওপর। ২৫ মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করে আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছিলেন তাঞ্জের শহরে। তারপর ২০০২ সালে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে এনে মরক্কো কাপ নামে একটি টুর্নামেন্ট করেছিলেন।
মি বুখাতিরের আগ্রহ কমার সাথে পতন শুরু হয় মরক্কোর ক্রিকেটেও। গত কয়েকবছর সেখানে কোনো ক্রিকেটই খেলা হচ্ছেনা।
বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকায় জীর্ণ দশা দাঁড়িয়েছে তাঞ্জেরের ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির। আউটফিল্ডের বিভিন্ন জায়গায় পানি। পিচ চোখে পড়ে না। প্রাকটিস করার জায়গায় ভেড়া চরছে। পাঁচ বছর ধরে একই অবস্থা চলছে।
মরোক্কোর সাবেক ক্রিকেটার কিশোকা পেলানি বিবিসিকে বলেন,”মরক্কোর ক্রিড়া পরিষদের ভেতর ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি ধারনা ছিলোনা, এবং ক্রিকেট ফেডারেশনে যারা ছিলেন, তারা পরিষদকে বোঝাতে পারতেন না। ফলে একসময় পরিষদ ক্রিকেটে তহবিল বন্ধ করে দিল”।
তবে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মরক্কোর ক্রিকেট ক্লাবগুলো এ মাসে একটি সভার আয়োজন করেছে। সেখানে বোর্ডের নতুন একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা নিয়ে কথা হবে। সেটা হলে, মরক্কোর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আবারো ক্রিকেট ফেডারেশনকে সাহায্য শুরু করতে পারে। মরক্কোর ক্রিকেটের আকাশে নতুন সূর্য।