নিজেদের মাঠে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ১৯ রানে হেরে বিপিএল-এর চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করলো চিটাগং ভাইকিংস। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আট উইকেট ১২৯ রান করতে পারে চিটাগং।
নিজের হোমগ্রাউন্ড আবার মাথায় অধিনায়কের মুকুট। তাই দায়িত্ব নিয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল। স্বভাব সুলভ মারমুখী মেজাজে তাই যেন সংযম রাখলেন তিনি। রানের চাপও তেমন ছিল না, দেখেশুনেই খেলে চলেন ভাইকিংস অধিনায়ক। তবে শুরুতে ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন জহুরুল। কৌশলের অংশ হিসেবে আক্রমণাত্মক ধারায় খেলা শুরু করেন ওয়ান ডাউনে নামা এনামুল হক বিজয়। বলে ব্যাটে সংযোগও ভালো ছিল তার। তবে অতি আত্মবিশ্বাস কাল হয়। নাসির হোসেনকে ডাউন দ্য উইকেট এসে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার পরের বলটিতে আবারও মিডউইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে যান তিনি। পাওয়ার ছিল কম, ফলে সীমানার সামান্য সামনে সহজ ক্যাচ নেন শ্রীলঙ্কান রিক্রুট সেকুগে প্রসন্ন। তখনই শেষ হয় হয় এনামুল হক বিজয়ের ১৫ বলে ১৭ রানের ইনিংস।
তবে তামিমের ধীরে চলো নীতির ইনিংস শেষ হয় ২৬ রানে। ব্রাভোর স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোকা বনেন তিনি। খেলতে চেয়েছিলেন অনে। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল উড়ে আসে কাভার অঞ্চলে, সহজ ক্যাচ লুফতে বেগ পেতে হয়নি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের।
এদিকে প্রতি ওভারেই বাড়তে থাকে রানের চাপ। মো. নবি সে চাপেরই শিকার হন। মো. শহীদের বলে সাঙ্গাকারার হাতে তিনি ১৫ রানে কট বিহাইন্ড হন। মাহমুদুল হাসান ২০ রানে ম্যাট কোলসের বলে বোল্ড হলে ভাইকিংসের আকাশে দেখা দেয় অমানিশা। গ্র্যান্ট ইলিয়ট আট রানে বিদায় নেন। শেষ তিন ওভারে ভাইকিংসের প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। উইকেটে ছিলেন নাজমুল হোসেন মিলন ও সাকলাইন সজীব। ১৩ রানে বিদায় নেন মিলন, তখন জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যায় ঢাকা। টাইমাল মিলস চেষ্টা করছিলেন কিন্তু ৪ রানে রান আউট হওয়ার সঙ্গেই শেষ হয় ভাইকিংসের জয়ের আশা।
সাকলাইন সজীব ৭ ও ইমরান খান ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২৩ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে মো. শহীদ ছিলেন সফল বোলার।