বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধীদল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দেখতে আজ কক্সবাজার গিয়ে পৌঁছেছেন।
সোমবার তিনি রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করবেন।
বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্যই খালেদা জিয়ার এই যাত্রা। তিনি বলেন, তারা যতটা সম্ভব ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন।
মীর্জা আলমগীর বলেন, এ সফরের সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। “নির্বাচন এখনো অনিশ্চিত” – বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে সরকারের যে উদ্যোগগুলো নেয়া উচিত ছিল তা তারা নেয় নি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর জন্য যে কূটনৈতিক উদ্যোগগুলো দরকার তা এখনো সেভাবে নেয়া হয় নি।”
মি. আলমগীর বলেন, “১৯৭৮ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং ১৯৯২ সালে খালেদা জিয়ার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করেছিল। কিন্তু এখন চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশ এ ব্যাপারে একটা অবস্থান নিয়ে নিয়েছে। এ অবস্থায় যে ধরণের উদ্যোগ নিলে মিয়ানমারকে বাধ্য করা যাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবার জন্য – সেরকম উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”
এ ব্যাপারে ‘উচ্চ পর্যায়ে’ উদ্যোগ নেয়া দরকার, মিয়ানমারকে সমর্থনদানকারী দেশগুলোর সাথে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে কথা বলা দরকার – বলেন তিনি।
কক্সবাজার যাবার জন্য খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে গত শনিবার।
পথে বিভিন্ন স্থানে গাড়িবহর থামিয়ে খালেদা জিয়া তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথাবার্তা বলেন। খালেদা জিয়াকে দেখার জন্য পথে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জনসমাগম হয়।
এর মধ্যে ফেনিতে ঢোকার মুখে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ওপর একদল লোক হামলা চালায়। গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়, বহরের শেষ দিকে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে ক’জন এসময় আহত হন।
বিএনপি এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের দায়ী করে তবে আওয়ামী লীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে মি. আলমগীর বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবর ছবি থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে আওয়ামী লীগের লোকেরাই হামলা চালিয়েছে।
২০০৫ সালের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া এই প্রথম এত দীর্ঘ এক সফরে বের হলেন।