সারা শরীর যখন আগুনে পুরছে তখন চেনার উপায় ছিল না সে কে।
আব্দুস সাত্তার জানতে চান কে তুমি? যন্ত্রণায় কাতরানো কণ্ঠস্বর থেকে উত্তর আসে “আমি আজিজা আব্বা”
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খৈনকুটায় বাড়ি ছিল আজিজার।
১৪ বছরের কিশোরী আজিজাকে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বাড়ির পিছনে হাত-পা,মুখ বেধে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
আজিজার বাবা আব্দুস সাত্তার বিবিসি বাংলাকে আজ রবিবার বলেন “আমার বাড়ির পশ্চিম দিকে জঙ্গল আছে সেখানে নিয়ে যায় তারা আমার মেয়েকে। যখন আমি তাকে দেখলাম তখন আমি তাকে চিনতে পারিনি। সে যে কোন মানুষ নাকি অন্য কিছু সেটা আমি বুঝতে পারিনি”।
“এর পর দৌড়াদৌড়ু শুরু হয়ে গেছে। আমরা নরসিংদী হাসপাতালে নিয়েছি, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলাম। এরপর ভোর পাঁচটায় মারা গেল মেয়েটা”।
আজিজা হত্যার ঘটনায় একটি মামলা করেছেন আব্দুস সাত্তার।
তিনি বলছিলেন “আমি একটা মামলা করেছি, আমার মেয়ে যে কথা বলেছে সেই কথার সাথে মিলিয়ে তার চাচী,তার ভাই এবং অজ্ঞাত আরো তিন জনের নামে মামলা করা হয়েছে”।
আব্দুস সাত্তার বলছিলেন তারা দুই ভাই। তার ভাই থাকেন মালয়েশিয়াতে।
আব্দুস সাত্তারের কাছে প্রশ্ন করা হয় কেন তার ভাইয়ের বউ আজিজার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে তার মনে হচ্ছে?
এই প্রশ্নে মি. সাত্তার বলেন ” আমার ভাইয়ের বউ এর আরেকজনের সাথে খারাপ সম্পর্ক ছিল। আজিজা একদিন দেখে ফেলে। এই দিন বাড়ীতে খুব ঝগড়া হয়। এর পর তার( ভাইয়ের বউ) মোবাইল পায় না। হঠাত করে বলে আজিজা ঐ মোবাইল নিয়েছে”।
ঝগড়াটা যখন হয় তখন সাড়া গ্রামের মানুষ উপস্থিত ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে নিষ্ঠুরভাবে আগুনে পুরিয়ে আজিজা হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শিশু অধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত চাচী এখন পলাতক। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। 456