মঙ্গলবার নেপিডোতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লে. কর্নেল চ সুয়ি এবং পুলিশ প্রধানের সাথে বৈঠকের পর আসাদুজ্জামান খান টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের লক্ষ্যে দুই দেশের সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে খুব শীঘ্রই একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে।
নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে এই যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন তিনি। কিন্তু ফিরিয়ে নেবার এই পরিকল্পনা কতটা সফল হতে পারে?
শরণার্থী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলছিলেন “যেটুকু শোনা যাচ্ছে তাতে শঙ্কা বা প্রশ্নগুলো বেশি আসছে।এই যে কমিটি করার কথা বলা হচ্ছে এটাতে কোন ফল দেবে কিনা, এখানে কারা সদস্য হবে,তাদের উদ্দেশ্য কি হবে অনেক ধরণের প্রশ্ন চলে আসে”।
” এটা ঠিক আলাপতো চালিয়ে যেতে হবে। তবে এখান থেকে ফলপ্রসূ কিছু হবে কিনা সেটাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে” বলছিলেন মি. মুনির।
গত ২৫ শে অগাস্টের পর কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাতে করে আন্তর্জান্তিক মহলে সমালোচনা হচ্ছে।
এ মাসের দুই তারিখে মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন। এখন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে রয়েছেন। দেশটি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এই বিষয়টাকে অনেকে ভিন্ন ভাবে দেখছেন।রাখাইনে আগুনে পুড়ছে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর
মি. মুনির বলছিলেন “মিয়ানমার সুর কিছুটা নরম করেছে কিন্তু তাদের চরিত্র আমরা যা দেখেছি অতীতে বা সাম্প্রতিককালে তাতে পুরো বিশ্বাস স্থাপন করাটা ঠিক হবে না”।
তিনি বলছিলেন “এখানে যদি একটা যৌথ কমিটি হয় তাহলে কারা কোন মানদণ্ডে সদস্য হবেন সেটা একটা প্রশ্ন। মিয়ানমারের দিকে যদি সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকেন তাদের উপর কতটা আস্থা রাখা যাবে! আমাদের এখান থেকে রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা থাকবেন ওদিক থেকে হয়ত সেটা থাকবে না”।
“আবার ফেরত নেয়ার ক্ষেত্রে কাদের ফিরিয়ে নেবে, সেখানে কোথায় রাখবে সেটাতো অনেক দুরের ব্যাপার। এখন হঠাত করেই তাদের নমনীয় সুর সন্দেহ জাগে যে ভিতরে তারা কি করছে। এটা কোন সাজানো নাটক কিনা এটাও মনে হতে পারে” বলছিলেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল বর্তমানে মিয়ানমারে রয়েছে তাদের দেশটির নেত্রী অং সান সুচির সাথে সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছ।