ঢাকায় ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত ও ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিসহ দুইদেশের কর্মকর্তাদের একাংশ।
কুড়ি বছরের মধ্যে ফেরত, ভারত থেকে ঠিকাদার নিয়োগ এবং নির্মান সামগ্রীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারত থেকে ক্রয় — এমন সব শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশকে সাড়ে চারশো কোটি ডলার ঋণ দেবে ভারত।
সতেরোটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এই ঋণ দেয়া হবে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটিই অবকাঠামো খাতের।
এ ব্যাপারে আজ (বুধবার) দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ঢাকায় এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
এটি বাংলাদেশকে দেয়া ভারতের ধারাবাহিক ঋণের তৃতীয় দফা।
এর আগে গত বছর দেশটি বাংলাদেশকে ২শ কোটি এবং ২০১০ সালে প্রথম ১শ কোটি ডলার ঋণ দেয়।
এর আগের ঋণগুলোর ক্ষেত্রে একই রকম শর্ত ছিল।
তখন অনেকেই এই শর্তগুলোকে কঠিন বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
কিন্তু বেসরকারি থিংক ট্যাংক পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলছেন, দ্বিপাক্ষিক ঋণের ক্ষেত্রে শর্ত এরকমই থাকে।
এর আগে একই রকম শর্তে অন্যান্য দেশ থেকেও এমন ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ, বলেন ড. মনসুর।
জানা যাচ্ছে এর আগে যে দুই দফা ঋণচুক্তি হয়েছিল ভারতের সাথে তার সবগুলো প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে, প্রথম ঋণচুক্তির ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির কাজ শেষ হয়েছে এখন পর্যন্ত।
আর দ্বিতীয় ঋণচুক্তির ১৪টি প্রকল্পের সবগুলোই এখনো চলমান। শেষ হয়নি একটিরও কাজ।
এই দুই দফার চুক্তিগুলো হয়েছিল মূলত রেল খাতের উন্নয়নের জন্য।
থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এই প্রকল্পগুলোর গতি শ্লথ হলেও বাংলাদেশের জন্য এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে রেলের প্রকল্পের জন্য অন্য কোন দাতা দেশ বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আগ্রহ দেখায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।