দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা,অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার এ রায় দেন। এ সময় রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সোহেল রানার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। রানা প্লাজার কর্ণধার সোহেল রানা, তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। কাশিমপুর কারাগার থেকে ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা সম্পদের হিসাব বিবরণী ফরমে কোনো তথ্য না দিয়ে তা ফেরত পাঠান। এরপর ওই বছরের ২০ মে সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুদক এ মামলা করে। ২০১৬ সালের ১ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২(২) ধারায় এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত ২৩ মার্চ সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। দুদকের পক্ষে এ মামলায় আটজন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়।
রায় ঘোষণার পর দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার বলেন, তারা এ রায়ে সন্তুষ্ট। আর বাদীর আইনজীবী ফারুক আহম্মদ বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ২৯ এপ্রিল বেনাপোলে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন রানা। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন প্রাণ হারান। অনেকে আহত হন। হতাহতের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক।
দুদকের মামলায় রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Date:
Share post: