ইতিহাস তৈরি হয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটে এ সপ্তাহে। সেদেশের মাটিতে এই প্রথমবারের দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দিনরাতের টেস্ট ম্যাচ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত চারটি দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হয়েছে। তিনটি অস্ট্রেলিয়ায়, অন্যটি দুবাইতে। এজবাস্টনের ম্যাচটি ছিল বিশ্বের পঞ্চম।
তবে প্রথমবারের মত দিনরাতের টেস্ট ম্যাচের আগে ইংলিশ ক্রিকেটারেরা তাদের উদ্বেগ অস্বস্তি চেপে রাখেননি। বিশেষ করে তাদের বোলাররা খোলাখুলি বলেছেন ফ্লাড লাইটের আলোয় গোলাপি রঙের ডিউক বল কি আচরণ করবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত ছিলেন। তবে তিনদিনের মধ্যে জিতেছে ইংল্যান্ড।
ক্রীড়া বিশ্লেষক আশীষ রায় বিবিসিকে বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে যেভাবে দিন দিন কমছে, তাতে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ এবং একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জরুরী হয়ে পড়েছে।
মি রায় বলেন, একসময় একদিনের ম্যাচ দিন-রাতের করা হলো দর্শক বেড়ে গিয়েছিলো। “টেস্ট ক্রিকেটেও তা হবে বলে আমার বিশ্বাস, মানুষ কাজের পরে মাঠে ঢোকার সুযোগ পাবে।”
তিনি বলেন, গরম দেশগুলোতে সহজেই দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকালের পর এবং শীতের শুরুর মাঝখানের সময়টিতে।
“আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় অদূর ভবিষ্যতে আমার দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ দেখবো।”২০১১ সালে লীগ আ অর্থাৎ ফ্রেঞ্চ ফুটবল লীগ জিতেছিল উত্তর ফ্রান্সের ক্লাব লিল। তারপর গত ছয় বছর ধরে চলছে খরা। শীর্ষে দ্রুত জায়গা নিয়ে নিয়েছে পিএসজির পাশাপাশি মোনাকো এবং মার্সেই। এখন লিল বলছে বিশ্বের সেরা ফুটবল কোচকে তারা নিয়েছে, এবং আশা করছে আবার তারা এখন ফ্রান্সে তো বটেই, পুরো ইউরোপের ফুটবলের শীর্ষ স্তরে জায়গা করে নিতে পারবে।
আর যে কোচের ওপর তাদের এই ভরসা তিনি আর্জেন্টিনা এবং চিলে জাতীয় দলের সাবেক কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা, টটেনহ্যামের মরিসিও পটেটিনো বা আর্জেন্টিনার কোচ সামপাওলীর মত বড় বড় ফুটবল কোচরা পর্যন্ত বলেন, মার্সেলো বিয়েলসাই তাদের গুরু।
পেপ পার্দিওলার মতে বিয়েলসাই বিশ্বের সেরা কোচ। কারণ, বিয়েলসার “একজন ফুটবলারকে আরো ভালো খেলোয়াড় করে তুলতে পারেন।।”
মে মাসে লিলে যোগ দিয়েই মার্সেলো বিয়েলসা ক্লাবের ফুটবলারদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তার জামানা হবে ভিন্ন। তার নির্দেশে লিলের অনুশীলন মাঠের এক পাশে ২০টি ছোটো ছোটো কটেজ বানানো হয়েছে। লীগ শুরুর আগ পর্যন্ত ঘরবাড়ি ছেড়ে সেখানেই থাকতে হয়েছে তাদের। নতুন কোচ কেমন, তার কৌশল কেমন – এ নিয়ে বিবিসির সাথে কথা বলতে রাজী হন লিলের ডাচ ফুটবলার আনোয়ার এলঘাজি।
“তিনি একটু অন্যরকম। মাঝে মধ্যে ভীষণ রেগে যান, চিৎকার করেন। তবে সাধারণভাবে তিনি খুব চুপচাপ। ভীষণ পরিশ্রম করান আমাদের। আমাদের সক্ষমতার শতভাগ বের করে আনতে চান। যেমন – গত বছর আমার শরীরের ফ্যাটের পরিমাণ ছিল ১০-১১ শতাংশ। এখন তা নেমে ৮ শতাংশ। আমি তো এখন আশা করছি হয়তো আবার ডাচ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যেতে পারি।”
তবে বিয়েলসা এতটাই মেজাজি যে তাকে পাওয়া এবং ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন। গত বছর মাত্র দুদিন পর স্প্যানিশ ক্লাব লাতসিও থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তার আগের বছর দুই ম্যাচ পরেই ফ্রান্সের মার্সেই ক্লাব ছেড়ে তিনি চলে যান ।
লিলে তাকে আনার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন ক্লাবের বর্তমান মহা পরিচালক মার্ক ইঙ্গলা যিনি একসময় বার্সেলোনা ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে বার্সেলোনায় থাকাকালীন সময়ে ইঙ্গলাই পেপ গার্দিওলাকে কোচ হিসাবে এনেছিলেন। আর এখন তিনি লিলে আনলেন মার্সেলো বিয়েলসাকে। তবে কতদিন রাখতে পারবেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে বিয়েলসার মত কোচের আগমনে লিলের সমর্থকরা পুরনো গৌরব ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
শাকিল আনোয়ার, বিবিসি বাংলা