পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে বুধবার রাতে ভারতের হামলার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান থেকে ড্রোন ভূপাতিত করার খবর আসছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাকিস্তানের এক সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ভারত আবারও সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে এবং লাহোর, গুজরানওয়ালা, চকওয়াল, অ্যাটক, রাওয়ালপিন্ডি, বাহাওয়ালপুর, মিয়ানওয়ালি এবং করাচিতে ড্রোন পাঠিয়েছে।
পরে পাকিস্তান সেগুলো ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করেছে।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার এসএসপি সামিউল্লাহ সুমরো বিবিসি সংবাদদাতা রোহান আহমেদকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সীমান্ত থেকে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে কেনজোতে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
এসএসপি সামিউল্লাহ বলেন, “কিছু কৃষক মাটিতে বসে ছিলেন এবং ড্রোনটি পড়ে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরেকজন আহত হন।”
বিবিসির রোহান আহমেদের মতে, করাচির শরাফি গোথ এলাকাতেও একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে লাহোরের ওয়ালটন এলাকায় একটি ড্রোন ভূপাতিত করার খবরও পাকিস্তানি গণমাধ্যম প্রচার করেছে এবং এলাকার ফুটেজে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, ফায়ার ব্রিগেড এবং রেসকিউ ১১২২-এর যানবাহন দেখা গেছে।
পাঞ্জাবেও, চকওয়াল জেলার দোহমান থানার সীমানার মধ্যে মাঠে একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সাংবাদিক নাবিল আনোয়ারের মতে, সকাল ৬টার দিকে ঘনওয়াল গ্রামের কাছে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
সাংবাদিক নাবিল আনোয়ারের মতে, “ড্রোনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এলাকায় একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।”
গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবে ড্রোনটি একটি মাঠে পড়ে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের মতোই ব্যস্ত শহর রাওয়ালপিন্ডির একটি ফুড স্ট্রিটেও আরেকটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার পর ড্রোনটিতে আগুন ধরে যায়, যার পর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলটি অবরুদ্ধ করে দেন।
অন্যদিকে, গুজরানওয়ালার স্থানীয় পুলিশের মতে, ওয়াহিন্দু থানার টোকান এলাকায় একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ড্রোনের ধ্বংসাবশেষও মাঠে পাওয়া গেছে।