জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. রেজাউল হক মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং চিম্ময়ের পক্ষে আইনজীবী এম কে রহমান ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য শুনানি করেন।
অপূর্ব কুমার সাংবাদিকদের বলেন, জামিন আদেশ স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। এখন হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের রায়ের অনুলিপি পেলে লিভ টু আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। তখন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে সে আবেদনের উপর শুনানি হবে।
এর আগে ২৯ এপ্রিল চিন্ময়ের জামিন প্রশ্নে ফেব্রুয়ারি মাসে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাই কোর্ট বেঞ্চ। তাতে চিন্ময় দাসকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়।
সেদিনই জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিম্ময় কৃঞ্চকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে এ মামলায় চিন্ময়সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাঁচ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।
গত ২ জানুয়ারি এ মামলায় চিন্ময়ের জামিন আবেদন নাকচ করে দেয় চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর গত ১২ জানুয়ারি হাই কোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।
তার জামিন নামঞ্জুর হলে তার অনুসারীদের হট্টগোলের মধ্যে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। পরে কাছাকাছি এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে সোমবার আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় চট্টগ্রামের আদালত।
একই ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি ও আলিফের ভাইয়ের করা একটি মামলায় মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় সেখানকার আদালত।