দুদকের করা মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ২ মার্চ

Date:

Share post:

সময় ডেস্ক
ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অর্ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন ের (দুদক) করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্ আলী হোসেন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মোশাররফ হোসেন নামে একজন সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।এরপর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেন। এনিয়ে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গঠনের আদেশ দেন।

গত ৬ অক্টোবর আসামি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদের উপস্থিতিতে দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ বদলির নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে তাদের দুজনের নামে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’-এর ২৭(১) ধারায় মামলাটি করা হয়।

তদন্ত শেষে দুদক ান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন ের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।

অন্যদিকে র‍্যবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

সময় ডেস্ক  র‍্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় দুই কোটি ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৩৬ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা এবং ১৮.৮...

গায়েবি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক হামলা প্রত্যাহার করা হবে

আড়াইহাজারের বেশি গায়েবি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা...

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন...

সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস

সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক বৈঠকে...