সময় ডেস্ক
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট (এমআরটি পাস) কাটলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় পাশে ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১.৩৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে তিনি এই পাস নেন। একইসঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও একটি পাস নেন। প্রধানমন্ত্রী মোট এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন।
এর আগে বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মেট্রোরেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত গতির রেলযুগে প্রবেশ করলো। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মেট্রোরেল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মেট্রোরেল বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রার মুকুটে আরেকটি পালক। আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের মুকুটে আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।”
সরকারপ্রধান বলেন, “অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি সবাই তা ব্যবহারে যত্নশীল হতে আহ্বান জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে। এ যাত্রায় দেশের মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা সহযোগিতা না করলে পদ্মা সেতু হত না, মেট্রোরেল হত না।”