প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একমাত্র ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে আমিও গৃহবন্দি ছিলাম। আর তখনই সজীব ওয়াজেদ জয় জন্মগ্রহণ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, তার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। এর কিছু দিন পরে মা, জামাল, রেহানা, রাসেলসহ ধানমন্ডির পুরনো ১৮ নম্বরের একটি ১ তলা বাড়িতে আমাদের গৃহবন্দি করে রাখা হলো। বন্দি খানায় ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে ফ্লোর, সেখানে আমাদের থাকতে হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো হতো না। যাই হোক ওই অবস্থায়ই জয়ের জন্ম হয়।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জয়ের জন্মদিনের কথা উঠে আসলে শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে জয়ের জন্য দোয়া চেয়ে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয়ের জন্মের সময় আমার মা হাসপাতালে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু তাকে যেতে হয়নি। মা যখন যেতে চেয়েছে তখন পাকিস্তানি সেনা অফিসার বলেছিল— আপনিতো নার্সও না ডাক্তারও না আপনি গিয়ে কি করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় জয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সব রকম পরামর্শ দিয়েছিল।’
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম রাখার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয়ের জন্মের পর বন্দিখানার মধ্যে আমরা কিছুটা হলেও সজীবতা পেয়েছিলাম বলে মা তার নাম রেখেছে সজীব।’
জয় নাম রাখার পেছনে একটা ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ এর ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তেলন করা হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, আমি থাকতে পারবো কিনা জানি না, দেখতে পারবো কি না জানি না। স্বাধীনতা আমরা অর্জন করবোই। আমি সে ব্যবস্থার সবই করে রেখে গেছি। তোর ছেলে হবে, সে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হবে। সে ছেলে হলে তার নাম জয় রাখবি।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার।