রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহতের ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। তবে মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি সনজুর মোর্শেদ।
যদিও হত্যাকাণ্ডের পর মামলার বাদী হাবিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনজন খুনিকে চিনতে পেরেছেন তিনি। তারা হলেন— রোহিঙ্গাদের সংগঠন কথিত ‘আসরা-ও আল-ইয়াকিন’ নেতা হিসেবে পরিচিত মাস্টার আবদুর রহিম, মুর্শিদ ও লালু।
তবে ওই সময় তাদের নাম প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হাবিবুল্লাহ।
‘চিহ্নিত খুনিদের’ মামলায় কেন আসামি করা হয়নি এ বিষয়ে জানতে বাদী হাবিবুল্লাহর সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে হুমকির কারণে ‘চিহ্নিত খুনিদের’ আসামি করা হয়নি বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গাদের অনেকেই।
ওসি সনজুর মোর্শেদ বলেন, অজ্ঞাত আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে।
‘চিহ্নিত খুনিদের’ আসামি না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাদী যেভাবে এজাহার দিয়েছেন, সেভাবে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়ির সামনে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়।