বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ওয়াশিংটন ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার পথে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম।
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ নেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ওয়াশিংটন ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। সেখানে দুই ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত ১০ টা ১৫ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রা বিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে পৌঁছান।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দফতরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারাগাছ রোপন করেন।