মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল সাতটায় পুলিশ স্টেশনের কাছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনালগ্রিন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আক্রান্ত তরুণদের একজন ২৪ বছর বয়সী শাখাওয়াত হোসেন। অপরজনের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসিড দিয়ে হামলা হয়েছে কি না, তারা নিশ্চিত নয়। তবে অ্যাসিডের মতো মারাত্মক দাহ্য পদার্থ দিয়ে হামলা হয়েছে। যাতে দুই তরুণের মুখ ও ঘাড়ের চামড়া বিকৃত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে একের পর এক অ্যাসিড হামলা নিয়ে সৃষ্ট আতঙ্কের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। গত দুই সপ্তাহে লন্ডনে অ্যাসিড-জাতীয় পদার্থ দিয়ে এটি তৃতীয় হামলার ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আক্রান্ত হওয়ার পর দুই তরুণ বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি দোকানে গিয়ে সাহায্য চান। তাঁরা বলেন, তাঁদের ওপর অ্যাসিড হামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ও হাসপাতালকর্মীরা দুই তরুণের আক্রান্ত স্থানে পানি ঢালছে। পরে তাঁদের হাসপাতালের ‘বার্ন ইউনিটে’ চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গত ১৩ জুলাই লন্ডনে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচটি ভিন্ন স্থানে অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে। এর তিন দিন পর বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার মাইল এন্ড এলাকায় দুজনের ওপর অ্যাসিড-জাতীয় তরল দিয়ে হামলা হয়।
কয়েকদিন আগেই এই আতঙ্কে ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্ট ব্লাস্ট টুর্নামেন্ট ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল। যদিও দেশে ফেরা নিয়ে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার পরিষ্কার কিছু বলেননি।