নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সমর্থনও পেয়েছেন।এক টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ আর সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে পারবেন না।তার এ বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা ও নিন্দা।মি. ট্রাম্প জানিয়েছেন, সামরিক বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে তিনি দেখেছেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ‘চিকিৎসা অনেক ব্যয় বহুল’ এবং এতে বাহিনীর মধ্যে ‘ঐক্য বিনষ্ট’ হয়।তবে, ইতোমধ্যেই যারা বাহিনীতে আছে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।গত বছর ওবামা প্রশাসন সামরিক বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অন্তুভুর্ক্ত করে প্রকাশ্যে কাজ করার বিধি জারি করেছিলেন।মি. ট্রাম্পের এ ঘোষণার সমালোচনা করছেন প্রায় সব পক্ষই।
রিপাবলিকান দলের সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির প্রধান বলেছেন, যে কোনো মার্কিন নাগরিক যোগ্য প্রমাণিত হলে সামরিক বাহিনীতে কাজের অধিকার রাখে।
ডেমোক্রেটিক দলের কংগ্রেসম্যান জো কেনেডিও বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তবে, মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কনজারভেটিভ এবং রিপাবলিকান দলের কিছু কর্মী।
মার্কিন পদাতিক বাহিনীতে জায়গা পাওয়া প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ প্যাট্রেসিয়া কিং মি. ট্রাম্পের এই ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
“যখন কেউ আমাদের মত মানুষদের সম্পর্কে ভাবে এবং কাজ করতে দেখে, তারা হয়তো ভাবে যে, রোজ আমাদের অনেক ওষুধপত্র দরকার হয়। কিন্তু আমাকে কোনো কিছু দমিয়ে রাখতে পারেনি আর সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে গিয়েও আমার কোনো সমস্যা হয়নি।”
তবে, বিশ্লেষকদের ধারণা, এখনই এই ঘোষণা দেবার পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে মি. ট্রাম্পের।
মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী তদন্ত, রুশ নিষেধাজ্ঞা বিলসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আড়াল করতেই এই ইস্যুটি সামনে আনা হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
তবে, হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডরার্স এক ব্রিফিং-এ জানিয়েছেন এখনি এই নীতি বাস্তবায়ন হবে না। এ নীতি বাস্তবায়নের জন্য ভিন্ন উপায় খোঁজা হবে।
Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-40737441