গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি,বললেই থানায় গিয়ে হাজির হব। আমার বাসা ঘেরাও করার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কালিবাড়িরোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রশ্নে মেয়র বলেন, গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি, বললেই থানায় গিয়ে হাজির হব। আমার বাসা ঘেরাও করার দরকার নেই। আমি পরিচিত লোক, আমি দলের সাধারণ সম্পাদক, আমার চেহারা বাংলাদেশের সবাই চেনে,আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে পুলিশ খুঁজছে। এতে করে অনেক কর্মী বাসা বাড়িতে যাচ্ছেন না। তিনি কর্মীদের বাসা-বাড়িতে আসতে ও কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতিও অনুরোধ জানান।
তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শোকের মাসে সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে কাজ করলে তাতে দলেরই ক্ষতি হবে। তিনি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের দু’ নেতার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি বার বার বলেছি ষড়যন্ত্রের কথা। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিন বছরের ষড়যন্ত্র চলাকালে একনেকে ১৩০ কোটি টাকা পাস হলেও টাকা পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পেয়েও সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনোভাবেই পেরে উঠতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্যানেল গাজী নঈমুল ইসলাম লিটুসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও-এর বাসভবনে হামলা ও পরে আনসারদের ছোড়া গুলিতে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহসহ নেতাকর্মী আহত এবং এরপরেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই ময়লা আবর্জনা অপসারণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত তিন দিনে নগরীর বিভিন্ন সড়কসহ বাসা বাড়ির সামনে বর্জ্যের স্তুপ হয়ে গেছে। এতে করে নগর জুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।