ডেস্ক নিউজ:অল কমিউনিটি ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত ও দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে।
গত ৮ জুন পরীমনি ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন মিলে অল এই ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। গুলশান থানায় একটি জিডি দায়ের হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ক্লাবটির সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল।
কে এম আলমগীর ইকবাল জানান, ৮ জুন রাত প্রায় একটার দিকে অল কমিউন্টি সেন্টারে আসেন পরীমণিসহ আরেকজন। এর আগে কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে ছিলেন পরীমণির পরিচিত আরও একজন, যিনি এই ক্লাবের সদস্য।
ক্লাব বন্ধের সময় হওয়ায় তাদের প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে ক্লাব সদস্যদের অনুরোধে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়। আধঘণ্টা সার্ভ করার পর তাদের বের হয়ে যেতে বলা হয়।
কিন্তু পরীমণি বের না হয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। এসময় তিনি ১৫ ট গ্লাস, ৯ টি অ্যাশট্রেসহ আরও কিছু হাফপ্লেট ভাঙেন। পরে নিজেই ৯৯৯ এ ফোন করেন। পুলিশ এসে তাদের বের হয়ে যেতে বলে।
তবে এ ঘটনায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ পরীমণির বিরুদ্ধে কোনো জিডি করেনি বলে জানান তিনি।
এদিকে ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণিকাণ্ডের পর আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। নিয়ম ভেঙে কয়েকটি সোশ্যাল ক্লাবে মধ্যরাতে এই নায়িকার যাতায়াত ও মদ্যপানের খোঁজ-খবর করছে পুলিশ।
এরইমধ্যে বনানী থানা পুলিশ গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবের বার বয়ের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছে।
গুলশান থানা জানায়, সাধারণত ৯৯৯ থেকে কোনো ডাক পেলে সেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কী পেল না পেল ইত্যাদি অবগত করতে হয়। তার অংশ হিসেবেই সেদিনের ক্লাবের ঘটনাটি পুলিশ জিডি আকারে লিখে রাখে।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পরীমণি ওই ক্লাবের সদস্য নন। ৮ জুন (মঙ্গলবার) রাতে তিনি ক্লাবে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা ও তর্কবিতর্ক হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ৯৯৯ থেকে গুলশান থানায় ফোন করলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখতে পায়। এরপর পুলিশ থানায় ফিরে এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আকারে গোটা বিষয়টি থানায় অবগত করে।