দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জনপ্রিয় ব্যান্ডদল সোলসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চট্টগ্রামের সন্তান সুব্রত বড়ুয়া রনি মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুধবার (২৬ মে) ভোর পাঁচটায় ঢাকার ডেল্টা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৬৬ বছরে জীবনের ইতি টানা সুব্রত বড়ুয়া রনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
রনির বড় ভাই শৈবাল বড়ুয়া জানিয়েছেন, দেড়বছর আগে রনির ক্যানসার ধরা পড়ে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু করোনার দুঃসময়ের মধ্যে সেটা আর সম্ভব হয়নি। রনির মরদেহ নিয়ে তার সন্তানেরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মরদেহ দুপুর নাগাদ চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে তার বাসার সামনে পৌঁছাবে।
শৈবাল বড়ুয়া আরও জানান, রনির মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া হবে। সেখানে সংস্কৃতিকর্মীরা তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর তার মরদেহ চারুকলা ইনস্টিটিউট, নন্দনকানন বৌদ্ধমন্দির হয়ে বিকেলে চান্দগাঁও মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হবে।
চারুশিল্পী সুব্রত বড়ুয়া রনি আশির দশক থেকে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তিনি একাধারে সঙ্গীত ও যন্ত্রশিল্পী, চারুশিল্পী, নাট্যকর্মীও ছিলেন। সৈকতচারী কয়্যার গ্রুপ, অরিন্দম নাট্য গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
আশির দশকে কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ডদল সোলস। সেখানে রনি ড্রাম বাজাতেন। সোলস ব্যান্ডের গানে ভিন্নধারার সূচনা করেছিল এবং তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। চারুশিল্পী হিসেবে ডিজাইনার্স ফোরাম নামে একটি সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।