মোঃ আনোয়ার হোসেন
ধুনট(বগুড়া) প্রতিনিধি
মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ বর্তমানে বগুড়ার ধুনটে ১ কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যাবসায়ীগন তাদের ইচ্ছেমতো দাম হাকিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জনসাধারণ। নিম্ন আয়ের মানুষের এ বছরের তরমুজের স্বাদ নিতে খুবই হিমশিম খাচ্ছে বলে জানা যায়। রমজান মাস এলেই প্রতিটা পরিবারের ইফতারের আয়োজনে থাকে তরমুজ সহ হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার। কিন্ত সেই তরমুজের দাম এবার আকাশ ছোয়া। তবে দাম বৃদ্ধির কারনে অনেক রোজাদার সহ নিম্ন আয়ের মানুষ আজও তরমুজের স্বাদ নিতে পারেননি।
গত বছর ধুনটে সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি এবং ১ কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার চিত্রটা ভিন্ন! চলতি মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত তরমুজের দেখা গেলেও এ বছর তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১ কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ধুনট বাজার সহ বিভিন্ন হাট, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজি তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন।
অটোচালক মান্না,শাহিন , হানিফ সহ আরও অনেকেই বলেন, লকডাউন চলছে। ভয় নিয়ে সড়কে আসি, দিন শেষে যা আয় হচ্ছে কোনো রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। এই রোজগারে এ বছর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না।
বাজারে আসা রোজাদারসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন ১ কেজি তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কারন কি? যে তরমুজ গত বছরও মানুষ ১৫ থেকে ২০ টাকায় ১ কেজি তরমুজ কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে যদি ১৫/২০ টাকা হতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো ; অথচ ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃতপক্ষে ওই চাষি, যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ উৎপাদন করেছে তার পকেটে যাচ্ছে নাকি অন্য কারও পকেটে? কৃষকের তরমুজের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাজারে বিক্রেতা পর্যন্ত যারা ভোক্তার পকেট খালি করে চলেছে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাজারের কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা কেজিতে বিক্রি করছেন। আমরাও কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজার মনিটরিং করলে কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।