নিজস্ব প্রতিবেদন
পাকা আনারসের মৌ মৌ গন্ধে ভরে ওঠেছে পাহাড়। প্রতি বছরের মতো পাহাড়ে এবারো বাম্পার ফলন হয়েছে আনারসের। কঠোর লকডাউনও চাষিদের হাসি থামেতে পারেনি। বেশ চড়া দামে আনারস বিক্রি করতে পারায় সন্তুষ্ট কৃষক।
জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পাহাড়ে আনারসের চারা লাগানো হয়। এক বছর পর ফলন পাওয়া যায়। বৈশাখ- শ্রাবণ-ভাদ্র মাস আনারসের মৌসুম। মৌসুমের আগে আনারস ফলাতে পারলে দাম বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে চাষিরা মৌসুমের আগেই আনারস চাষ করেন।
রাঙামাটির নানিয়ারচর, লংগদু, সদরের বন্দুকভাঙ্গা, তৈমিদুং, বরকল, মগবান ইউনিয়নের বেশ কিছু জায়গায় আনারস চাষ হয়েছে। এসব এলাকা থেকে রাঙামাটি সদরের বনরূপা বাজারে এনে পাইকারীরা পাঠাচ্ছেন ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বাজারে খুচরা দামে বড় সাইজের প্রতি জোড়া আনারস বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের প্রতি জোড়ার দাম ৫০-৬০ টাকা এবং ছোট সাইজের আনারস বিক্রি হচ্ছে জোড়া ২০-৫০ টাকায়।
মগবান ইউনিয়নের জনি চাকমা সময়.নিউজকে বলেন, আগাম মৌসুমের আনারস সব বিক্রি করা শেষ। দাম বেশ ভালো ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতবার আগাম আনারস চাষ করে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। এবার ভালো ফলন হওয়ায় তা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃঞ্চ প্রসাদ মল্লিক গণমাধ্যমে বলেন, ২০২০ সালের গত মৌসুমে এজেলায় আগাম আনারসের চাষ হয়েছিল ২১৩০ হেক্টর জমিতে। এবার আনুমানিক ১১০০ হেক্টর জমিতে আগাম মৌসুমি আনারসের চাষ করা হয়েছে। আগাম আনারস চাষে ফনল বৃদ্ধির জন্য এক ধরনের ভিটামিন ব্যবহার করা হয়। তবে এই ভিটামিন মানবদেহে তেমন ক্ষতিকারক নয়। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাষিদের সুপরামর্শ দিয়ে থাকেন। জেলা প্রত্যেক উপজেলাতে আমাদের উপসহকারীরা কৃষকদের সহায়তায় সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।