এ আর রুহুল আমিন হাজারী
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেন’র চতুর্থ ছেলে হাফেজ অলিউল্লাহ’র হত্যা কারীদের ফাঁসীর দাবীতে শুক্রবার বাদ জুমা বিষ্ণপুর ঈদ গাঁ ময়দানে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ৭ং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম উল্লাহর উপস্থাপনায় ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সাইচাপাড়া সেবা সংগঠনের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড প্রাক্তন মেম্বার মোঃ খোরশেদ আলম সরকার, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ধনু মিয়া সরকার,নিহতের পিতা মোবারক হোসেন ও তার বড় ভাই মনিরুল ইসলামসহ সর্বস্তরের জনগণ।
ওই হত্যার ঘটনাটি ঘটে গত ২৫ মার্চ দুপুরে বান্দরবন জেলার লামা উপজেলার ৬নং রুপসীপাড়া ইউনিয়নের শিংঝিরি গ্রামের ১নং ওয়ার্ড ও ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী স্থানের গভীর জঙ্গলে অলিউল্লাহ
স্বাধীনকে শ্বাসরোধে হত্যা পূর্বক মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। ওই ঘটনার এক মাস পর তার মরদহে উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ। একই সাথে ঘাতক ফয়েজ আহমেদ ও আরিফকে আটক করেছে লামা থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সৃত্রে জানা যায়
গত ২২ শে মার্চ চাকুরী দেওয়ার প্রলোবনে বাড়ি থেকে ফোনের মাধ্যমে বের করে নিয়ে ২৫ শে মার্চে সকাল ১১ টায়
হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহকে শ্বাসরোধ করে মেরে বান্দরবান জেলার লামার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের শিংঝিরি নামক স্থানে গভীর জঙ্গলে মাটির নিচে পুতে রাখে।
নিহতের বড় ভাই মনির হোসেন ও নিহতের পিতা মোঃ মোবারক হোসেন বলেন- মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা (৫০), পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ হাকিমুল্লাহ,গ্রামঃ শিংঝিরি, রুপসীপাড়া ইউপি এর মেয়ের জামাতা মোঃ ফয়েজ (৪০) পিতাঃ আব্দুল মালেক,সাংঃ খাড়াতাইয়া,ষোলনল ইউনিয়ন,বুড়িচং থানা (হাফেজ অলিউল্লাহ’র মামাতো ভাই) এবং তার বন্ধু মোঃ আরিফ (১৮) পিতাঃ মোঃ আব্দুল গনি, সাং বিষ্ণুপুর
,থানা দেবীদ্বার,জেলা কুমিল্লা (হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহর খালাতো ভাই) এর সাথে গত ২২-ই মার্চ মোঃ ফয়েজ এর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
তারপর হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ পরিবারের কাছ থেকে মোঃ ফয়েজ ও মোঃ আরিফ ইমুতে পরিবারকে অপহরণের বিভিন্ন ছবি দিয়ে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় গত ২৫-শে মার্চ হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ কে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে লামা রুপসীপাড়া ইউনিয়নের শিংঝিরি নামক স্থানের গভীর জঙ্গলে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহর বড় ভাই মোহাম্মদ শাহিন (বাবু) ২৬ এপ্রিল বুড়িচং থানায় একটি জিডি করেন এবং মোবাইল ট্রাক এর মাধ্যমে লামা থানায় অভিযোগ করলে লামা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তদন্তের মাধ্যমে মোঃ ফয়েজ ও মোঃ আরিফ কে গ্রেফতার করেন এবং ২১ এপ্রিল ২০২১ইং তারিখ ০২ঘটিকায় মৃত হাফেজ মোঃ অলিউল্লাহ কে পুঁতে রাখা মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেন।