ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তাই স্বাস্থ্যবিধির নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি ভঙকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। আজও খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এ জরিমানা করা হয়।
শুধু খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও নয়, নগরীর বেশিরভাগ স্থানেই দেখা গেছে দিনভর এমন চিত্র। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১১টি অভিযানে ৩৩ জনকে ১৮ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২ জনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন। এছাড়া নগরীর পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একজনকে ২০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান।
অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক নগরীর খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে ৭০০ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া নগরীর কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় ৫ জনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত।
পাশাপাশি পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবর এলাকায় ৪ জনকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জনকে ৭০০ টাকা জরিমানা করেন।
অন্যদিকে বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে ৩ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে ২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও লকডাউন সফল করতে সন্ধ্যার পর নগরীর বিভিন্নস্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও মো. উমর ফারুক।