সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউবের মতো সাইটগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বহুদিন ধরেই সমালোচনা হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ নতুন কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বাধ্য হয়ে।
ইউটিউব বলছে, এখন থেকে যারা সহিংস জঙ্গী প্রপাগান্ডার মতো বিষয় খুঁজবে তাদেরকে ‘রিডাইরেক্ট’ করে এমন সব ভিডিও দেখানো হবে যেগুলোতে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করা হয়েছে।
বিশেষ করে যারা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গী গোষ্ঠীর বিষয়ে সার্চ করবে তাদেরকে এমন কিছু ভিডিও খুঁজে বের করে দেয়া হবে যেগুলোতে এই গোষ্ঠীকে ঘিরে তৈরি ‘মিথ’ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
ইউটিউব বলছে লোকজনকে জঙ্গী মতাদর্শ থেকে দূরে রাখার কাজে তারা সহায়তা করতে চায়।
ইউটিউব বিবিসিকে জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের প্রপাগান্ডা তাদের সাইটে আপলোড করা তাদের সাইট ব্যবহারের শর্তাবলীর বিরোধী।
ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যেসব ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যাবে সেগুলিতে তাদের ঘিরে তৈরি অনেক জনশ্রুতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। যেমন ইসলামিক স্টেটের আওতাধীন এলাকায় সুশাসন যে একেবারেই নেই, তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর কথা যে একেবারেই ফাঁকা বুলি এসব বিষয় ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট ত্যাগ করে পালিয়ে আসা লোকজনের কথাও রয়েছে অনেক ভিডিওতে। একটি ভিডিওতে আছে একজন বৃদ্ধা মহিলা দুই আইএস জঙ্গীকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের ‘আল্লাহর পথে’ ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ইসলামিক স্টেটের নিন্দা করে বিভিন্ন ইমামের দেয়া বক্তব্যও আছে অন্য কিছু ভিডিওতে।
ইউটিউব জানিয়েছে, শুরুতে তারা কেবল ইংরেজীতে কেউ সার্চ করলে তাদেরকে ‘রিডিরেক্ট’ করে এরকম ভিডিওতে নিয়ে যাবে।
কিন্তু পরবর্তীতে আরবী সহ অন্যান্য ভাষাতেও এই সার্ভিস চালু করা হবে।